মাতৃভাষায় হোক বিজ্ঞান চর্চা, জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে জানালেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে শিশুদের বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এদিন তিনি বিজ্ঞান প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন।

দেশের বিরল প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রতি বছরের মতো এই বছরেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনের আয়োজন করল রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজি বিভাগ (West Bengal Science & Technology & Biotechnology Department)। প্রতি বছরই ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)হিসেবে উদযাপিত হয় দেশ জুড়ে। ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী সি ভি রামন ১৯২৮ সালে স্পেকট্রোস্কোপির (Spectroscopy)জগতে এক বিরল বিষয় আবিষ্কার করেন। যা পরে তাঁরই নামাঙ্কিত হয়। রামন এফেক্ট আবিষ্কারের দিনটি ছিল এই ২৮ ফেব্রুয়ারিই। এই আবিস্কারের জন্য ১৯৩০ সালে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারও পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরেও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলনের আয়োজন করে ২৮ ফেব্রুয়ারি। কলকাতার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আজ এবং আগামিকাল চলবে বিজ্ঞান সম্মেলন। পদার্থবিজ্ঞানী সি ভি রামনের ছবিতে মাল্যদান এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এই বিজ্ঞান সম্মেলনের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্রাবণী ধর (Srabani Dhar)। তাঁর স্বাগত ভাষণের মাধ্যমেই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজি বিভাগের মুখ্য সচিব হৃদেশ মোহন, বোস ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর অধ্যাপক উদয় বন্দ্যোপাধ্যায় (Uday Banerjee),ভারত সরকারের (Government of India) পারমাণবিক শক্তি (Atomic Power)বিভাগের প্রধান অতিথি অধ্যাপক সুমিত সোম। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস (Ujjwal Biswas) সহ অন্যান্যরা।

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে শিশুদের বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এদিন তিনি বিজ্ঞান প্রদর্শনীরও উদ্বোধন করেন। ৩০ তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্মেলন সংক্রান্ত ম্যাগাজিন সংখ্যাও প্রকাশিত হয় এদিন। কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক সুদীপ কুমার দাসকে সম্মানিত করা হয়। বোস ইন্সটিটিউটের ডিরেক্টর বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞানীর মধ্যেকার ফারাক সবার সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজ্ঞান চর্চার আলোয় ছাত্র যুবদের মেধা শক্তির বিকাশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। রাজ্যের বুকে এমন অনেক বিজ্ঞানী আছেন যাঁদের কথা বাঙালি জানে না। সেইসব বিজ্ঞানীদের প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন। তিনি জোর দেন মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চার দিকে। তিনি বলেন নিজের আবিস্কারের পেটেন্ট গ্রহণ করে কাজ করার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে সকলকে। শুধু সরকারি চাকরির আশায় বসে থাকা নয়, নিজেদের আবিস্কারের অধিকার বিশ্বের কাছে সদর্পে ঘোষণা করার সময় এসেছে। এই কর্মকাণ্ডকে সফল করতে পারলে ভবিষ্যতে আরও অনেক বেশি সংখ্যায় কর্ম দিশা দেখা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

Previous articleউপাচার্য নিয়োগ: রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রী বৈঠকে জট কাটার ইঙ্গিত
Next articleঅ্যা*ডিনো সতর্কতায় বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর, এখনই কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি নয়