মেঘালয়ে তৃণমূলকে রুখতে মরিয়া বিজেপি, গণনার আগেই সাংমা-বিশ্বশর্মা গোপন বৈঠক

২০১৮ সালে মাত্র দুটি আসন জিতে মেঘালয়ে জোট সরকারে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবারও মূল শাসক দল এনপিপি'র সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েনি তারা। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস.

রাত পোহলেই উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় (Meghalaya) ও নাগাল্যান্ডের (Nagaland) ভোট গণনা। বুথ ফেরত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডে বিজেপি (BJP)ও তাদের জোটসঙ্গীরা ক্ষমতা ধরে রাখছে। তবে মেঘালয় নিয়ে বিশেষ আশার আলো দেখছে না গেরুয়া শিবির। সেই আশঙ্কা থেকেই ৬০ আসন বিশিষ্ট পাহাড়ি রাজ্য মেঘালয়ে ঘুরপথে সরকার তৈরির খেলায় নেমে পড়ল বিজেপি। মধ্যরাতে ডাবল ইঞ্জিন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান শাসক দল এনপিপি সুপ্রিমো কনরাড সাংমা নিয়ে রাতভর গোপন বৈঠক করলেন। গণনার ঠিক আগেই দুই মুখ্যমন্ত্রীর এমন বৈঠক খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

২০১৮ সালে মাত্র দুটি আসন জিতে মেঘালয়ে জোট সরকারে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবারও মূল শাসক দল এনপিপি’র সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েনি তারা। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, এবার কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ জায়গাতে পৌছতে পারছে না। এককভাবে ৩১ সংখ্যার ম্যাজিক ফিগার কেউ পাবে না। তবে শাসক দল এনপিপি সবথেকে বেশি আসন পাবে বলে ইতিমধ্যে বুথ ফেরত সমীক্ষাতে উঠে এসেছে। আর দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। যেখানে বিজেপি বা কংগ্রেস অনেকটাই পিছিয়ে থাকবে। সবমিলিয়ে ত্রিশঙ্কু হবে মেঘালয়।

এই আবহে দাঁড়িয়ে এনপিপি ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। মেঘালয়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার করে ফের একবার বিজেপির সঙ্গেই জোটের রাস্তায় যে তারা যাবে সেটা কনরাড সাংমা এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মার গুয়াহাটির হোটেলে রাতভর বৈঠকেই স্পষ্ট। যদিও এই বৈঠক নিয়ে কোনও পক্ষই টু শব্দ করেনি। গণনার পর পর যে বিজেপি এনপিপি-এর হাত ধরবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

Previous articleশহিদ ছেলের স্মৃতিসৌধ বানিয়ে জুটল পুলিশের মার, গ্রেফতার বাবা
Next articleনিশীথ-কাণ্ডে পাল্টা ভিডিও ফুটেজ নিয়ে রাজ্যপালের দরবারে যাওয়ার পরিকল্পনা তৃণমূলের