ছেলের বাড়িতে টাকার পাহাড়! বেকায়দায় ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-র চেষ্টা বিজেপি বিধায়কের  

মুখ রক্ষার্থে তড়িঘড়ি পদ ছাড়লেন কর্নাটকের চান্নিগিরির বিধায়ক (MLA) কে মাদল বিরূপাক্ষ।

বাংলায় শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বেজায় শোরগোল ফেলছিল বিজেপি (BJP)। এবার প্রকাশ্যে কর্নাটকের (Karnataka) বিজেপি বিধায়ক পুত্রের ঘুষকাণ্ড (Bribe)। বাড়িতে মিলল টাকার পাহাড়। মুখ রক্ষার্থে তড়িঘড়ি পদ ছাড়লেন কর্নাটকের চান্নিগিরির বিধায়ক (MLA) কে মাদল বিরূপাক্ষ (Madal Virupakshappa)।

সামনেই কর্নাটক নির্বাচন। আর তার আগেই বড়সড় বিপাকে গেরুয়া শিবির। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আগেই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। এবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবারই কর্নাটকের চান্নিগিরির বিধায়ক কে মাদল বিরূপাক্ষের পুত্র প্রশান্ত কুমার মাদলের বাড়িতে তল্লাশি চালান রাজ্য সরকারের তরফে গঠিত লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী শাখার আধিকারিকরা। আর তারপরই মিলল যখের ধন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই KSDL-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিধায়ক বিরূপাক্ষ। বৃহস্পতিবারই পুত্র প্রশান্ত কুমার মাদলের (Prashant Kumar Madal) বাড়িতে তল্লাশি চালান কর্নাটক সরকারের তরফে গঠিত লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী শাখার আধিকারিকরা। আর তারপরই মিলল যকের ধন। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই KSDL-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ (Resign) করেছেন বিধায়ক বিরূপাক্ষ।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই বিজেপি শাসিত কর্নাটকের চান্নাগিরির বিধায়কের ছেলে প্রশান্ত কুমার মাদলকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এরপরই বেঙ্গালুরু জল সরবরাহ বোর্ডের চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্টের নেতৃত্বে বিধায়ক পুত্রের ডলার কলোনিতে তল্লাশি চালানো হয়। লোকায়ুক্ত (Lokayukta) পুলিশ সূত্রে খবর, তল্লাশি চালানোর পরই বিধায়ক পুত্রের বাড়ি থেকে ছ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। তবে এদিন শুধু বিধায়ক পুত্রই নয়, এদিন কর্নাটক সরকারের এক আমলার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তাঁর বাড়ি থেকে কিছুই উদ্ধার হয়নি। কর্নাটক সরকারের তরফে গঠিত লোকায়ুক্তের দুর্নীতি বিরোধী শাখার আধিকারিকেরা বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালান রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষের পুত্র প্রশান্ত মাদলের বাড়িতে। এই তল্লাশি অভিযানেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। তার এক দিন আগেই ৪০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে লোকায়ুক্তের তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়েছিলেন প্রশান্ত। আর তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

তবে প্রশান্তের অফিস থেকে টাকা ভর্তি ৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। কর্নাটক লোকায়ুক্তের এক আধিকারিক জানান, তাঁর অফিস থেকে বৃহস্পতিবারই ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক কে মাদল বিরূপাক্ষপ্পা বর্তমানে KS&DL-র (Karnatak Soaps and Detergents Limited)  চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। ওই সংস্থায় একই পদে রয়েছেন তাঁর ছেলে তাঁর ছেলে প্রশান্ত কুমার এমভি। তবে প্রশান্ত ছাড়াও এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন প্রশান্তর আত্মীয় সিদ্ধেশ। এছাড়াও তাঁর তিন অ্যাকাউন্টট্যান্ট সুরেন্দ্র, নিকোলাস ও গঙ্গাধরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

 

Previous article‘পদ্ম’ ছুঁয়েই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা, মঙ্গলে মোদির উপস্থিতিতে শপথ
Next articleঅভিযান শেষ ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র, প্রয়াত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়