বাংলা পক্ষর (Bangla Pakkha) ছাত্র শাখার উদ্যোগে আজ, শনিবার শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) বকুলতলায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবিতেই তাদের এই প্রতিবাদ সভা। বাংলা পক্ষের অভিযোগ, হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী বিজেপি সরকারের অনুগত উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশ্বভারতীর সকল ঐতিহ্য ধ্বংস করার কাজ চলছে দীর্ঘদিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর সকল আদর্শ ও শিক্ষাচেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব, পৌষমেলা বন্ধ করা হয়েছে। নিরাপত্তার নামে বিশ্বভারতীকে (Visva Bharati) প্রাচীরে আবদ্ধ করে রবীন্দ্রনাথের মুক্ত ও সমাজমুখী শিক্ষার ভাবনাকে ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিবাদী শিক্ষক, কর্মচারীদের নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে, বাদ যাচ্ছেন না প্রবীণ আশ্রমিকরাও। প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরাও আক্রান্ত। অনৈতিকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে একাধিক ছাত্রছাত্রীকে, নামিয়ে আনা হচ্ছে নানা প্রশাসনিক জুলুম। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত ধ্বংস করছে প্রতিহিংসা পরায়ণ উপাচার্য ও তার স্তাবকরা।

বাংলা ছাত্র পক্ষ এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করছে। এদিন শান্তিনিকেতনের বকুলতলার এই সভায় ছাত্র পক্ষের তরফে রণ ভট্টাচার্য্য, ইনজামুল হক, অনিকেত পোদ্দার, শক্তিরূপা সাধুখাঁ, অপরূপা সাহা সহ একাধিক জেলার ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত হয়ে এক প্রতিবাদ কর্মসূচী করে। সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয় অবিলম্বে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই। সেই সঙ্গে অত্যাচারিত ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকে বহিষ্কার সহ সকল দমনমূলক নির্দেশিকা প্রত্যাহার করতে হবে। বাঙালি ছাত্রছাত্রী দের ভবিষৎ নষ্টকারী CUET বাতিল করতে হবে, বিশ্বভারতীতে রবি ঠাকুরের ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, বসন্ত উৎসব, পৌষমেলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীকে বাঁচাতে এই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ বাংলার সরকারের হাতে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। কারণ বাঙালিই পারবে রবি ঠাকুরের আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখতে, কোনও হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নয়। সভার পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীর অবস্থানরত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
