বড়সড় প্র*তারণা চক্রের ফাঁদ! চিকিৎসককে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের  

সাইবার শাখার আধিকারিকদের তৎপরতায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ টাকা ফিরে পান চিকিৎসকরা। আর কলকাতা পুলিশের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন প্রবীণ চিকিৎসক।

বড়সড় প্রতারণা চক্রের (Fraud) হাত থেকে চিকিৎসককে বাঁচাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। গড়িহাটের ডোভার লেন এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন দমদমের বাসিন্দা প্রবীণ চিকিৎসক বিমল পোদ্দার। আর সেই সময়েই তাঁর মোবাইলে প্যান কার্ড আপডেট করানোর জন্য মেসেজ আসে। আর সেই মেসেজে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে যেন অবিলম্বে ফর্ম ফিলাপ করেন তিনি। আর তারপরই বড়সড় বিপত্তি। যে বিপদের হাত থেকে চিকিৎসককে বাঁচাতে এগিয়ে এল কলকাতা পুলিশ।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, অনলাইন লেনদেন সম্পর্কে ডাক্তারবাবু যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। প্রায়শই নেট ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতেন। কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে পাওয়া লিঙ্কে বিন্দুমাত্র না ভেবেই ক্লিক করে ফেলেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মোবাইলে অজান্তে ডাউনলোড হয়ে যায় এনি ডেস্ক (Any Desk) নামে একটি রিমোর্ট অ্যাক্সেস অ্যাপ (Remote Access App)। এই ধরনের অ্যাপ-এর মাধ্যমে ফোন বা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় জালিয়াতরা। যেমনটা ডোভার লেনের চিকিৎসকের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। মোবাইলে মেসেজ আসার পরই আত্মীয়ের বাড়িতে বসে নেট ব্যাঙ্কিং-এ লগইন করতে হয় চিকিৎসককে। যার ফলে তাঁর আইডি (ID) ও পাসওয়ার্ড (Password) চলে যায় জালিয়াতদের (Fraud) হাতে। এরপর আর কিছুই করার ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে পাসওয়ার্ড বদলে যায় নেট ব্যাঙ্কিং (Net Banking)-এর। শুধু তাই নয়, নেট ব্যাঙ্কিং-এর সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকের ফোন নম্বর সরিয়ে নিজেদের নম্বর বসিয়ে দেয় জালিয়াতরা। ফলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হলেও সেই সংক্রান্ত কোনও মেসেজ তাঁর ফোনে না যায়। এরপর একাধিকবার নিজের নেট ব্যাঙ্কিং-এ লগইনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন চিকিৎসক। তারপরই পুরো বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন।

এরপর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে চিকিৎসক গাড়িয়াহাট থানা (Garihat Police Station) এবং সাউথ ইস্ট ডিভিশনের (South East Division) সাইবার শাখার (Cyber Cell) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপরই তড়িঘড়ি তদন্তের কাজ শুরু করেন সাইবার সেলের দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট রাহুল বোস ও তাঁর সহকর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে চিকিৎসকের অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জালিয়াতরা। কিন্তু এরপরই সাইবার শাখার আধিকারিকদের তৎপরতায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ টাকা ফিরে পান চিকিৎসকরা। আর কলকাতা পুলিশের এমন উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন প্রবীণ চিকিৎসক।