মেঘালয়ে জোট সরকার গড়বে তৃণমূল! ‘পদ্ম’ সঙ্গ ছেড়ে মুকুলদের সঙ্গে বৈঠক ২ বিধায়কের

সাদা চোখে সবকিছু সহজ মনে হলেও দ্রুত বদলাচ্ছে মেঘালয়ের(Meghalaya) রাজনৈতিক পটভূমি। গতকালই বিজেপি(BJP) হাত ধরে সরকার গড়তে রাজ্যপাল সাক্ষাত করেছেন কনরাড সাংমা(Conrad Sangma)। তিনি রাজ্যপালকে(Govornor) জানান ২ জন করে বিজেপি, এইচএসপিডিপি(HSPDP) ও নির্দলের সমর্থন রয়েছে এনপিপির(NPP)। প্রথা মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফাও দিয়েছেন তিনি। এর ঠিক পরই দ্রুত বদলাতে শুরু করল মেঘালয়ের রাজনৈতিক চিত্রপট। বিজেপি-এনপিপিকে রুখে দিতে এবার জোট বেধে মেঘরাজ্যে সরকার গড়ার লড়াইয়ে নামল কংগ্রেস(Congress), তৃণমূল(TMC)। তৃণমূলের এই জোটে সামিল হয়েছে মেঘালয়ের আর এক শক্তিশালী দল ইউডিপি এবং আরও ৩টি আঞ্চলিক দলও।

মেঘালয়ে সরকার গড়ার জন্য দরকার ৩১ টি আসন। কনরাড শুক্রবার রাজ্যপালের কাছে দাবি করেন ৩২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে। তবে এর ঠিক পরই ঘুরে যায় খেলা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজেপি এনপিপি জোট থেকে সমর্থন তুলে নেয় এইচএসপিডিপি-র দুই বিধায়ক। এ বিষয়ে এনপিপি প্রধান কনরাড সাংমা এবং রাজ্যপালকে চিঠি লিখে এইচএসপিডিপি-র সভাপতি জানান, এনপিপিকে সমর্থন দেবে না তাঁর দল। এরপরই এনপিপি বিজেপিকে রুখতে শুক্রবার বৈঠকে বসে কংগ্রেস, তৃণমূল, এইচএসপিডিপি, ইউডিপি, পিডিএফ এবং ভিপিপি। এই দলগুলির মিলিত আসন সংখ্যা ২৯। তবে সরকার গড়তে প্রয়োজন আরও ২ বিধায়কের সমর্থন। সেই জায়গায় দুই নির্দল প্রার্থীর কথা ভেবে নিয়ে ঘুটি সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল। এই বৈঠকের পর তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা জানান, বিজেপি জোট থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া ২ বিধায়ক তাঁদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ফলে কনরাডের শপথ গ্রহনের দিন ৭ মার্চ ঠিক হয়ে গেলেও মেঘালয়ের রাজনৈতিক পটভূমি কোন পথে মোড় নেবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। মেঘালয়ের বিধানসভা ফলাফলের দিকে যদি নজর রাখা যায় তবে দেখা যাবে, এনপিপি ২৬, ইউডিপি ১১, তৃণমূল ৫, কংগ্রেস ৫, বিজেপি ২ ও অন্যান্য ১১ টি আসন। কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গড়তে গেলই এখানে জোটই একমাত্র পথ। আর সেই পথে বিজেপির হাত ধরে এনপিপি পা বাড়ালেও এবার পাল্টা সরকার গড়ার লড়াইয়ে নামল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট।

Previous articleকো*ভিডের উৎস কোথায়? আমেরিকার পর এবার সরব হু
Next articleহাজার টাকার বন্ডে জামিন মিলল কৌস্তভের, কোর্ট চত্বরে চূড়ান্ত নাটক!