Thursday, August 28, 2025

কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কন্ঠরো*ধের চেষ্টা, প্রতি*বাদে মোদিকে চিঠি মমতা সহ বিরোধীদের

Date:

কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি, কখনো বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। ইডি, সিবিআই-এর মত এজেন্সিগুলিকে দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের। এমনটাই অভিযোগ তুলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিল তৃণমূল সহ ৯ বিরোধী রাজনৈতিক দল। এই তালিকা তৃণমূল নেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রয়েছেন, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান চন্দ্রশেখর রাও, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের মতো নেতারা।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠিতে সাম্প্রতিক একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। চিঠিতে লেখা হয়েছে যে বিরোধী নেতারা বিজেপিতে যোগদান করছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত ধীর গতিতে চলছে। বেছে বেছে নিশানা করা হচ্ছে বিরোধীদের। যার ফলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এছাড়া অবিজেপি রাজ্যগুলিতে রাজ্যপালের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, রাজ্যপালরা কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিভেদ সৃষ্টি করছেন। শুধু তাই নয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সির পদক্ষেপকে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর দিল্লির ডেপুটি সিএম মণীশ সিসোদিয়াকে সিবিআই গ্রেফতারর করে। গ্রেফতারের সময় তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দেখান হয়নি। মনীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে ‘গণতন্ত্রের স্বৈরাচারে ব্যবস্থাকে’। ২০১৪ সাল থেকে যেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই বিরোধী দলের।প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যে লেখা এই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি স্বাক্ষর করেছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সপা প্রধান অখিলেশ যাদব, বিহারের ডেপুটি সিএম এবং আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা।

উল্লেখ্য, মণীশ সিসোদিয়াকে তো বটেই অবিজেপি রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রতিহিংসা মূলক আচরণের আরো একটি নমুনা সাম্প্রতিক ছত্রিশগড়। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের কয়লা লেভি কেলেঙ্কারিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিল। কেলেঙ্কারিতে অর্থ পাচারের তদন্তে ইডি, কংগ্রেস কোষাধ্যক্ষ, বিধায়ক এবং অন্যান্য নেতাদের বাড়িতে হানা দেয়। এই অভিযানগুলি এমন এক সময়ে হয়েছিল যখন ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। ইডি এক ডজনেরও বেশি জায়গায় হানা দেয়। এর মধ্যে একাধিক কংগ্রেস নেতার বাড়িও ছিল তালিকায়।

আরও পড়ুন:অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে বাড়ছে ধোঁ*য়াশা !

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version