Holi Celebration : সন্ন্যাসী থেকে সাধারণ মানুষ, রাজ্যজুড়ে রঙিন বসন্তের আমেজ !

চলেছে মিষ্টিমুখ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেলুড়মঠে (Belur Math) শুরু হয় দোল উৎসব। ভক্তদের পাশাপাশি রঙের খেলায় মেতে ওঠেন সন্ন্যাসীরাও।

রাজ্যজুড়ে আজ রঙিন বসন্তের মেজাজ। সন্ন্যাসী থেকে সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব (Political Personality) থেকে বিনোদন জগতের তারকা (Entertainment Industry), সকলেই আজ দোলের রঙে রঙিন। টলিউডের রাহুল প্রিয়াঙ্কা থেকে রাজনীতির রঙিন চরিত্র শোভন বৈশাখী , সকলেই আজ বসন্ত রঙে রঙিন। সকাল থেকেই গৃহবাসীর দ্বার খুলেছে আবিরের রঙে। বেলা গড়াতেই রংবেরংয়ের পিচকিরি বেলুন নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন সব বয়সের মানুষ। চলেছে মিষ্টিমুখ শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। সকালে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেলুড়মঠে (Belur Math) শুরু হয় দোল উৎসব। ভক্তদের পাশাপাশি রঙের খেলায় মেতে ওঠেন সন্ন্যাসীরাও।

কলকাতার ক্যামাক স্ট্রীটে ইসকন মন্দিরে (ISCON Temple) দোল খেলার পাশাপাশি কীর্তন অনুষ্ঠানে সামিল হন বিদেশি ভক্তরা। রাজনীতির জগতের তারকারা দোল উৎসবের আনন্দের ছন্দে ব্যস্ত জনসংযোগে। দক্ষিণ কলকাতায় গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাবে আজ বসন্ত উৎসব পালিত হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তিনিও দোল উদযাপন করেন।নিউটাউনের রবীন্দ্র তীর্থে বসন্তোৎসব পালনের অনুষ্ঠানে সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। গলফগ্রিনের সেন্ট্রাল পার্কের (CP) বসন্তোৎসবে নাচে-গানে রঙের উৎসবে মেতে ওঠে কচিকাঁচারা। চেতলায় নিজের ওয়ার্ডে প্রভাত ফেরিতে যোগ দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। পরে ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে রঙের খেলায় মাতেন মন্ত্রী।

কলকাতার বাইরেও সেই উৎসবের ছবি ধরা পড়ল। কোচবিহারের মহাসমারোহে প্রতিবারের মত এবারেও মদনমোহন দেবের পায়ে আবির ছুইয়ে দোল উৎসবের সূচনা করলেন কোচবিহারের মানুষ। মঙ্গলবার দোল পূর্ণিমার দিন কোচবিহারের রাজ পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে হাজার মানুষের শ্রদ্ধার আবিরে রঙিন হয়ে উঠলেন মদনমোহন দেব। সেখানে রাজ পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে ভক্তরা মদনমোহন দেবের (Madan Mohan Deb) পায়ে আবির অর্পণ করেন। ভক্তদের জন্য দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের পক্ষ থেকে ভেষজ আবিরের ব্যবস্থা করা হয়।

প্রভাতফেরি থেকে নাচে-গানের মূর্ছনায় বসন্ত উৎসব উদযাপন দুর্গাপুরে।শান্তিনিকেতনের অনুকরণে প্রায় এক দশক আগে দুর্গাপুরের (Durgapur) গীতাঞ্জলি পরিবারের পক্ষ থেকে শুরু হয় বসন্ত উৎসব উদযাপন। শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসবের ঘরানাকে অবলম্বন করেই দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে এক টুকরো শান্তি নিকেতনকে দেখতে পান হাজার হাজার মানুষ।সকালবেলায় সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই খোল করতাল সহযোগে সিটি সেন্টারের পথে পথে ‘খোল দ্বার খোল’… লাগল যে দোল…৷ সংগীতের মূর্ছনায় থেকে আট থেকে আশি সকলেই প্রভাতফেরিতে মেতে ওঠেন। দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের বর্তমান প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। তিনি গুটিকতক মানুষজনকে নিয়ে প্রায় এক দশক আগে যে বসন্ত উৎসবের সূচনা করেছিলেন শিল্পশহর দুর্গাপুরে সেই ধারা প্রবহমান।

বাঙালির কাছে বসন্ত উৎসব মানেই রবিতীর্থ শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) । আশ্রমে বসন্ত উৎসব বন্ধ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ‍্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) । কিন্তু বসন্ত উৎসবকে ঘিরে মানুষের কতটা আবেগ, তা একমাত্র সোনাঝুরিতেই বোঝা যায়। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বসন্ত উৎসব হল আশ্রম থেকে অনতিদূরে সোনাঝুরিতে। প্রতিবছর এই দিনটিতে বিদেশি পর্যটকরা ভিড় জমায়। আদিবাসীরা ধামসা মাদল নিয়ে বসন্ত উৎসবে হাজির হয়। সেখানে দেশি বিদেশী পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষজন সবাই সকাল থেকে মেতে ওঠে রঙে রঙিন হতে। সোনাঝুরির বিকিকিনির হাটে জোয়ার আনে বসন্ত উৎসব। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও (Abhijit Ganguly) দেখা যায় সোনাঝুরিতে।

 

Previous articleইন্দোরের পিচকে খারাপ অ‍্যাখ‍্যা, বিসিসিআইয়ের নির্দেশেই এমন পিচ, জানাল মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা
Next article৯ মার্চ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে চতুর্থ ম‍্যাচ, পিচ নিয়ে কী বললেন দ্রাবিড়