হরিদেবপুরের তরুণী খু*নের নেপথ্যে এ*সকর্ট সার্ভিস!

দোলের দিন সকালে হরিদেবপুরের (Haridevpur) রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বিবাহিত তরুণীর দেহ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার রহস্যভেদ করল লালবাজার (Lalbazar)। খুনের নেপথে এসকর্ট সার্ভিস বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ওই তরুণীকে খুন ও দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত অরুণাভ পাত্রকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাকে জেরা করে বুধবার দত্তপুকুর থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ (Police) জানিয়েছে, মধু মচক্রের টাকার ভাগ নিয়ে বচসার জেরে এই খুন। মৃতার নাম ডিম্পি চক্রবর্তী। তিনি নরেন্দ্রপুরের নয়াবাদের বাসিন্দা। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। মঙ্গলবার হরিদেবপুরে রাস্তার পাশে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার স্বামীর দাবি, পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ডিম্পি। তার পর থেকে তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সকালে দেহ উদ্ধারের পর তরুণীর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অরুণাভ পাত্রের খোঁজ পায় পুলিশ। বিকেলে সোনারপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ধৃত জানায়, ডিম্পির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল তাঁর। ২ জনে মিলে মধুচক্র চালাতেন। সেই টাকার ভাগ নিতেই দোলের আগের বিকেলে তাঁর বাড়িতে আসেন ওই তরুণী। তখনই পাওনাগন্ডা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ হয়। রাগের মাথায় ডিম্পির ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে অরুণাভ। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে পড়ে ছিল দেহ। রাতে অর্জুন দাস নামে এক বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে অরুণাভ। দু’জনে মিলে দেহটি বাড়ির কিছু দূরে গলির পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন- দোলে পরপর বাইক দু*র্ঘটনা! উলুবেড়িয়ায় ম*র্মান্তিক পরিণতি ৬ জনের

 

Previous articleঢাকার সিদ্দিকবাজারে বিস্ফো*রণের কারণ অধরা, মৃ*ত বেড়ে ২০
Next articleবলিপাড়ায় বসন্ত , হোলির রঙে মাতোয়ারা মায়ানগরী !