KCR কন্যার ধর্নায় বিরোধীরা ‘একজোট’! নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কংগ্রেস

দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কে কবিতা বলেন, কংগ্রেস এখন একটি বড় আঞ্চলিক দল মাত্র। গোটা দেশে কংগ্রেস নেই। এই দলের তাই উচিৎ দম্ভ ছেড়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করা।

সংসদে এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের (Womens Reservation Bill) দাবিতে কেসিআর কন্যা কে কবিতার (K Kavitha) ডাকা অনশন কার্যত বিজেপি বিরোধী মঞ্চের চেহারা নিয়েছে। দিল্লির যন্তরমন্তরে আয়োজিত হুয়েছে এই কর্মসূচি। আমন্ত্রিত ১৫ দলের মধ্যে ১২ দলের প্রতিনিধি এখনও পর্যন্ত কবিতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতি কংগ্রেসের (Congress)। আর তা নিয়েই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হাত শিবিরকে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ফোন করে তাঁর মেয়ের ধর্না কর্মসূচিতে প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু কে কবিতার ধর্না মঞ্চে কংগ্রেসের কেউ হাজির হননি। আর এই ইস্যুতেই এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কংগ্রেস।

উল্লেখ্য, কংগ্রেস যে তাঁর ধর্নায় যোগ দেবে না, শুক্রবারই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কে কবিতা বলেন, কংগ্রেস এখন একটি বড় আঞ্চলিক দল মাত্র। গোটা দেশে কংগ্রেস নেই। এই দলের তাই উচিৎ দম্ভ ছেড়ে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করা। আর কেসিআর কন্যার এমন মন্তব্যের পরই কার্যত তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে কংগ্রেস। কবিতার কথার জবাবে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh) বলেন, আপনি ইডির (ED) তলব নিয়ে ভাবুন। ইডিকে কীভাবে সামলাবেন সেটা চিন্তা করুন। কংগ্রেসকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে। এরপরই তিনি প্রশ্ন করেন ইডির সমনের হাত থেকে বাঁচতেই কী নজর ঘোরানোর চেষ্টা? এরপরই জয়রাম মনে করিয়ে দেন, ২০১০ সালে রাজ্যসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল কংগ্রেসের প্রচেষ্টাতেই পাশ হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি বিজেপিকেও এদিন আক্রমণ করতে ছাড়েননি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কেন গত ৯ বছরে লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করা হয়নি?

উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদর সীতারাম ইয়েচুরি কর্মসূচির সূচনা করেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ধর্নায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়াও একাধিক আঞ্চলিক ও জাতীয় দল সেখানে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস অনুপস্থিত। যদিও সংসদে মহিলা বিল নিয়ে অতীতে যারা সবচেয়ে সরব ছিলেন তাঁদের অন্যতম কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু কে কবিতার ডাকে সোনিয়ার দলের যোগ না দেওয়ার কারণ কী তবে তেলেঙ্গানার ভোটের অঙ্ক? কয়েক মাস পরই দক্ষিণের ওই রাজ্যে বিধানসভার ভোট। আর বর্তমান অবস্থায় তেলেঙ্গানার মাটি ফিরে পেতে কেসিআরের দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। তাছাড়া, স্বয়ং কবিতার বিরুদ্ধে দিল্লির মদকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আর সেকারণেই নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে হাত শিবির।