বাংলায় ‘অতিসক্রিয়’ কেন্দ্রীয় এজেন্সি! বিধানসভা প্রস্তাব আনল রাজ্যের শাসকদল

বাংলায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। এই প্রবণতা রুখতে এবার বিধানসভা (Assembly) প্রস্তাব আনল রাজ্যের শাসকদল। সোমবার, ইডি-সিবিআইয়ের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনে তৃণমূল (TMC)। অভিযোগ, এরাজ্যে তো বটেই, দেশজুড়ে বিজেপি (BJP) বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আগেও সরব হয়েছে তৃণমূল। এবার বিধানসভায় প্রস্তাব আনল তারা। এদিন এই প্রস্তাব আনেন তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তাপস রায় (Tapas Ray)।

 

বিজেপির বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধেও বিধানসভায় প্রস্তাব এনেছিল তৃণমূল (TMC)। এবার ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হল। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাজ্য অতি সক্রিয় এই জোড়া কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তারা বিভিন্ন সময় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের হেনস্থা করছে, জিজ্ঞাসাবাদ এমনকী গ্রেফতার পর্যন্ত করছে। রাজ্য এই দুই এজেন্সিকে তদন্তের বিষয় সবরকম সহযোগিতা করছে। এদিনের প্রস্তাবে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের অযথা হয়রানির বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

শুধু বাংলাতেই নয়, বিহারে তেজস্বী যাদব থেকে দিল্লিতে আপ সরকারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী- সবার ক্ষেত্রেই অতিসক্রিয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ইডি–সিবিআই এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে- এই অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ৯ কেন্দ্রের বিরোধীদলের শীর্ষ নেতানেত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন। আর তার পরের দিনই তেজস্বী যাদবের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডি দিয়ে কেসিআর-কন্যা কবিতাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। বাংলায় তৃণমূলের নেতৃত্বকে বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলেও বিজেপি-র এফআইআর নেমড নেতাকে ডাকছেও না ইডি-সিবিআই। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে তদন্তভার দিলেও, এখন তাদের কাজে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্টই। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় এই প্রস্তাব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleনিয়োগ দু*র্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ কে? নাম জানালেন শান্তনু!  
Next articleচুরি গেল বেন স্টোকসের ব‍্যাগ