রেল বি*ভ্রাটে ভোগা*ন্তিতে পরীক্ষার্থীরা, পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরলেন সংসদ সভাপতি 

পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তার জন্য আগেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West bengal Board of Higher Secondary Education)।

মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Examination)। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মেটাতে সব ধরণের পদক্ষেপ করে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Board of Higher Secondary Education)। কিন্তু রেল (Railway) সমস্যার জেরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে যথেষ্ট ঝামেলায় পড়তে হয়ে ছাত্র ছাত্রীদের বলে অভিযোগ। শিয়ালদহ মেইন লাইনে মেরামতির কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি করায় চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। রেলের তরফে এই নিয়ে কোনও নিশ্চয়তার আশ্বাস দেওয়া হয়নি। উলটে হাতে সময় নিয়ে বেরনোর পরামর্শ রেল কর্তাদের। তাঁদের কর্মকাণ্ডে এটা স্পষ্ট যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সমস্যায় ফেলে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করতে যথেষ্ট পরিকল্পনা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের রেল। যদিও তা সফল হয়েও হল না। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় ট্রেন বিভ্রাটের মধ্যেও নির্বিঘ্নে প্রথম দিনের পরীক্ষা দিলেন শিয়ালদহ মেইন শাখার বিভিন্ন এলাকার পরীক্ষার্থীরা। তবে যারা নিরুপায় হয়ে রেলপথ আশ্রয় করেছিলেন আশঙ্কা মতোই তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আর এই কাজের ফলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে রেলের প্রতিশ্রুতি যে আসলে কথার কথা ছিল তা প্রমাণ হয়ে গেছে।

এবছর উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary)দিচ্ছে সাড়ে ৮ লক্ষ পরীক্ষার্থী। গতবছরের থেকে প্রায় এক লক্ষ বেশি। পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তার জন্য আগেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West bengal Board of Higher Secondary Education)। এবার পরীক্ষার প্রথম দিন শহরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য (Chiranjib Bhattacharya)।

রেল পরিস্থিতি খারাপ হবে আঁচ করে আগের থেকেই সক্রিয় হয় নবান্ন। সোমবারই এই শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য বিকল্প যান বাহনের ব্যবস্থা করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। সেই মত এদিন কলকাতা থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা সব জায়গাতেই অতিরিক্ত বাস চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই পরীক্ষা স্পেশাল স্টিকার লাগানো প্রচুর অটো, ছোট গাড়ি দেখা গিয়েছে রাস্তায়। পরিস্থিতি খারাপের দিকে ধরে নিয়েই ঘণ্টাখানেক সময় বেশি হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।তাই তাদের খুব একটা অসুবিধা হয়নি। কিন্তু রেলপথের ছবি ছিল ভিন্ন।  বাড়তি ট্রেন তো দুরস্ত এদিন কোনও ট্রেনই সময়ে চলেনি। ফলে বেলা গড়ানোর স্টেশনে স্টেশনে ভিড় বেড়েছে। ভিড় ট্রেনে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি বাদুড় ঝোলা হয়ে পরীক্ষা দিতে যেতে দেখা গেছে অনেককে।

নির্বিঘ্নেই মিটেছে প্রথমদিনের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল ১০ টায় পরীক্ষা শুরু হয়। তবে উচ্চশিক্ষা সংসদের নির্দেশে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় পরীক্ষার্থীরা। অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পুরুলিয়াতেও এদিন সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির বাইরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সংসদের নিয়ম মেনেই নির্দিষ্ট নির্ঘণ্ট ধরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনের প্রতিটি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখে করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সংসদ সভাপতি আগেই জানিয়েছিলেন কড়া নজরদারি পরীক্ষা হবে। সেইমতো অতি স্পর্শকাতর কেন্দ্রে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর বসান হয়েছে, খোলা হয়েছে সেন্ট্রাল হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে সরেজমিনে সবটা খতিয়ে দেখেন সভাপতি।

 

Previous articleচলন্ত ট্রেনে ঘুমন্ত মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে ধৃ*ত টিটিই !
Next articleভার্চুয়ালিই চুটিয়ে প্রেম পার্থ-অর্পিতার! আদালত-কক্ষে ‘আজব’ প্রেমালাপ