কমিশনের ভোটার তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিরোধীরা, তৃণমূল কর্মীদের সতর্কবার্তা সুব্রতর

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat election)। তার আগে ভোটার তালিকা নিয়ে ভুল প্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি(BJP) সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এই পরিস্থিতিতে ভুল প্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো আটকাতে দলীয় কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা দিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি(Subrata Bakshi)। তার স্পষ্ট নির্দেশ, বিরোধীদের কথায় কান না দিয়ে তৃনমূল কংগ্রেসের(TMC) নেতা- কর্মীরা ভালো করে ভোটার তালিকা মিলিয়ে নিন।

একইসঙ্গে বিরোধীদের তোপ দেগে সুব্রত বাবু বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা- প্রার্থী না থাকা – নির্বাচনী প্রস্তুতি না থাকায় অকরাণে রাজ্যের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বিরোধী দলের নেতা- নেত্রীরা। অযথা তৃণমূল কংগ্রেসের বদনাম না করে তাদের জানা উচিত, তারা আসলে কমিশনের দেওয়া তালিকা নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, চলতি বছর ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই তালিকা ধরেই ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এই পর্যায়ে বুথের সংখ‌্যা বৃদ্ধির ফলে যদি কারও নাম বাদ যায় শুধু সেটুকুই তালিকায় তোলা হবে। এর পর আর কোনও বাড়তি ভোটারের নাম তোলা যাবে না। বিজেপি-সহ বিরোধীদের এ নিয়ে জল ঘোলা করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার করায় দলের স্পষ্ট নির্দেশ, বিরোধীদের বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে কোনও ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে কিনা, সেটা ভালো করে মিলিয়ে নিন।

উল্লেখ্য, ডিলিমিটেশনের ফলে রাজ্যের বুথের সংখ‌্যা বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আশপাশের যে কোনও বুথে ভোটারকে তাঁর নাম তুলে নিতে হবে। এর সঙ্গেই নতুন নিয়মে কমিশন জানিয়েছে, কারও ১৭ বছর বয়স হলেই তিনি নতুন ভোটার হিসাবে আবেদন জানিয়ে রাখতে পারবেন। পরের বছর ১ জানুয়ারি হলেই তিনি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার পেয়ে যাবেন। আবেদনের জন‌্য আর ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। এই সামগ্রিক নিয়মে বদলের ফলে ভোটারের সংখ‌্যা বেড়েছে প্রায় ১১.৮ শতাংশ। এই তথ্য কমিশনেরই দেওয়া। সংখ‌্যার হিসাবে যা বেড়েছে ৬২ হাজারের কিছু বেশি। দলের অভিযোগ, বিজেপি এই সংখ‌্যাকে সামনে রেখেই জাগলারি করছে। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

এর প্রেক্ষিতেই গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজ‌্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সাক্ষরে স্পষ্ট লেখা, কমিশন জানিয়েছে যে, ড্রাফ্ট ভোটার তালিকায় নতুন কোনও নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়া যাবে না। কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিয়ম মেনে ভোটার তালিকা বিভাজনের সময় ত্রুটিবশত যদি কোনও নাম বাদ যায় তাহলে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এক মাস সময় দিয়ে ভোটারের নাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের পর ১০ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সুব্রত বক্সি জানান, এরাজ্যের বিরোধীরা অকারণে তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এমনকি ভোটার সংখ‌্যা বাড়ানোর মতো মিথ‌্যা অভিযোগ তুলছে। অথচ, আমরা কমিশনের বিজ্ঞপ্তিকে মেনে চলার কথা আমাদের দলের কর্মীদের বলেছি। বিরোধীদের এই বিভ্রান্তি ছড়ানো রুখতে পাল্টা প্রচার করবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Previous articleসুপার এমারজেন্সি, শুভেন্দুর পর্দা ফাঁস করে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূলের নিশানায় ইডি-সিবিআই
Next articleবাংলাকে ‘মিনি কা*শ্মীর’ বলে অপমান বিবেক অগ্নিহোত্রীর, প্রতিবাদ বাংলা পক্ষর