শরীর খারাপেও মিলল না রেহাই! ইডি হে*ফাজতই ঠিকানা অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের

আদালত থেকে বেরিয়েও মণীশ দাবি করেছেন, তিনি শুধু পেশাদার হিসাবরক্ষক হিসাবে নিজের কাজ করেছেন। এমনকী পেশা হিসাবে হিসাবরক্ষকের কাজ বেছে নেওয়ায় আক্ষেপ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শরীর খারাপের কথা (Bad Health) বলেও লাভের লাভ কিছুই হল না। গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling) ৫ দিনের ইডি হেফাজতে (ED Custody) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক (Accountant) মণীশ কোঠারি (Manish Kothari)। বুধবার দিল্লির রাউস এভিনিউ কোর্ট (Rouse Avenue Court) তাঁর ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী সোমবার ধার্য করা হয়েছে। ওইদিনই ফের আদালতে পেশ করা হবে মণীশকে। তবে এদিন আদালত থেকে বেরিয়েও মণীশ দাবি করেছেন, তিনি শুধু পেশাদার হিসাবরক্ষক হিসাবে নিজের কাজ করেছেন। এমনকী পেশা হিসাবে হিসাবরক্ষকের কাজ বেছে নেওয়ায় আক্ষেপ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। শুনানি শেষে কান্নায় ভেঙে পড়তেও দেখা যায় মণীশ ও তাঁর স্ত্রীকে।

সূত্রের খবর, মণীশকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এদিন আদালতে ইডি জানায়, সব জানে মণীশ অর্থাৎ গরু পাচার মামলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মণীশকে জেরা করলেই বেরিয়ে আসবে। আগামী ৬ দিন ইডি-র সদর দফতরেই মণীশকে জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে তলব করা হয়েছিল অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের (Interrogation) পর রাতেই মণীশকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়। এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলতে পারব না। ইডির তরফে আদালতে যা নথি দেওয়া হচ্ছে সেই বিষয়ে আমি স্পষ্ট করে কিছু জানিনা। তবে তিনি মনে করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তদন্তের এই পর্যায়ে যা তথ্য প্রকাশ্যে আনে সেগুলিকে ‘ধ্রুব সত্য’ বলে মনে করার কিছুই নেই। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে আমরা কোনও ব্যক্রি বা অন্যায়কে আড়াল করছি। কিন্তু ইডি বা সিবিআই তৃণমূলের তরফে কাউকে কাদা ছুঁড়তে ব্যস্ত কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বা দিলীপ ঘোষের সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা সানগ্লাস পড়ে চলেন।

পাশাপাশি এদিন আদালতে ইডি সাফ জানায় জানায়, মণীশই অনুব্রতর হয়ে টাকা নিয়েছেন, আর সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, মণীশের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের সদ্য অপারেশন হয়েছে, শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। এছাড়া, মণীশ জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয়, হেফাজতে থাকাকালীন প্রতিদিন ৩০ মিনিট বরাদ্দ হবে তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বিপুল সম্পত্তি বা ভুয়ো সংস্থার বিষয়ে যে মণীশ অবগত, তেমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। তাই অনুব্রত ও মণীশকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই একাধিক তথ্য উঠে আসবে বলেই মত ইডি আধিকারিকদের।

 

 

 

Previous articleদেশীয় ক্ষেপণা*স্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ, শক্তি বাড়ল ভারতীয় সেনার
Next articleগোয়ায় বিলাসবহুল হোটেল ব্যবসায় দুর্নীতির বিপুল টাকা বিনিয়োগ কুন্তলের!