নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন কালীঘাটের কাকু

রীতিমতো বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।”

সিবিআইয়ের ডাকে সকাল ১১ টার আগেই বুধবার নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বের হন। আর সেখান থেকে বেরিয়েই মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
এদিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে তিনি দাবি করেন যে, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিশ যায়নি। আমাকে আবার ডাকা হয়নি।নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ জানিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সেই কুন্তল এবং বলাগড়ের আর এক যুবনেতা শান্তনুকে তিনি চেনেন বলেও বুধবার দাবি করেছেন তিনি।রীতিমতো বিরক্ত হয়ে তিনি বলেন, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।”
নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, টাকা নিয়েছি কি না তদন্তকারীরা আমায় জিজ্ঞাসা করেছেন। নিলে নিশ্চয়ই ওঁদের বলতাম।এরপর ফের মেজাজ হারান তিনি। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, কয়লা কেলেঙ্কারিতে তিনি যুক্ত কি না। এই প্রশ্ন শুনেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন সুজয়।
অথচ সকালে দফতরে ঢোকার মুখে তিনি জানিয়েছিলেন, সকাল ১১টায় তাঁকে হাজির থাকার কথা বলেছিল সিবিআই। সেই তলবে সাড়া দিয়ে তিনি আইনজীবীকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে এসেছেন। ঢোকার মুখে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সুজয় বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিশ পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’
প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

Previous articleগোয়ায় বিলাসবহুল হোটেল ব্যবসায় দুর্নীতির বিপুল টাকা বিনিয়োগ কুন্তলের!
Next articleমুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশ নিয়ে আপত্তি, আদালত অবমাননার অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের