অ্যা*ডিনো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা, পার্টি হল স্বাস্থ্য দফতর !

স্বাস্থ‌্যকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে পরিদর্শনে গিয়েছে। কিছু শিশুর স*র্দি, কা*শি রয়েছে। তাদের প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে এসে বিনামূল্যে ওযুধ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য জুড়ে জ্বর, সর্দি, কাশি জনিত সমস্যা বাড়ছে। কিন্তু কলকাতা পুরসভার (KMC) স্বাস্থ্যবিভাগ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে এইধরনের শিশুর আ*ক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বারবার অ্যা*ডিনোর দিকে আঙুল উঠলেও শহরে একটি শিশুও অ্যা*ডিনো ভাই*রাসে আক্রান্ত নয়। এর আগেই রাজ্যের স্বাস্থ্যবিভাগ (Health Department)জানিয়েছে অ্যা*ডিনো নিয়ে অযথা আ*তঙ্কের কিছু নেই। বুধবার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। স্বাস্থ্যদফতরকে এই মামলায় পার্টি করা হয়েছে।

রাজ্যে শিশু মৃত্যু নিয়ে অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)সবরকমের জরুরি পদক্ষেপ করেছে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল থাকে। পাশাপাশি শহরে ঠিক কী অবস্থা তা জানতে ফেব্রুয়ারির শুরুতেই কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে সমীক্ষা শুরু করেছিলেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ‌্য বিভাগের কর্মীরা। পরিসংখ্যান বলছে কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে আনুমানিক ৭০০ আশাকর্মী মিলে এই সমীক্ষায় অংশ নেন। এছাড়াও নার্স, ১০০ দিনের স্বাস্থ‌্যকর্মীরা ছিলেন। প্রত্যেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা করেন। এই বিষয়ে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, কলকাতার একজন শিশুও অ‌্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত নয়। কারণ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ‌্যকর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে পরিদর্শনে গিয়েছে। কিছু শিশুর সর্দি, কাশি রয়েছে। তাদের প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে এসে বিনামূল্যে ওযুধ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও দফায় দফায় স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যসচিব দফায় দফায় স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গেও কথা বলে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। বুধেও এই নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। এসবের মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে পিআইএল ফাইল করা হয়েছে। মামলাকারীর দাবি, প্রত্যেকটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরকে অ্যাডিনো ভাইরাস নিয়ে হেল্পলাইন, গাইডলাইন এবং নির্দেশিকার ব্যবস্থা করতে হবে বলে মামলা করা হয়েছে। আগামী সোমবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

 

বি সি রায় হাসপাতালে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ২৪-ঘণ্টায় আরও চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি উত্তর ২৪ পরগনা এবং একটি শিশু নদিয়া জেলার।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হওয়া ৪টি শিশুরই আইসিইউতে চিকিৎসা চলছিল।


 

Previous articleঅরুণাচল ভারতেরই! ‘ম্যাকমোহন লাইন’কে স্বীকৃতি আমেরিকার
Next articleওভাল টেস্টে ভারতের একাদশে কাদের দেখছেন সৌরভ ?