অরুণাচল ভারতেরই! ‘ম্যাকমোহন লাইন’কে স্বীকৃতি আমেরিকার

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য যে একতরফা পদক্ষেপ করছে চিন এবং আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, তাও ওই প্রস্তাবনায় সমালোচনা করা হয়েছে।

ম্যাকমোহন লাইনকে (Mcmahon Line) ভারত-চিন (Indo-China) আন্তর্জাতিক সীমান্তরেখা হিসাবে স্বীকৃতি দিল আমেরিকা (United States)। সম্প্রতি মার্কিন সেনেটের একটি প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাষায় জানানো হয়েছে যে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) হল ভারতের অখণ্ড এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা সত্ত্বেও চিন যেভাবে অরুণাচল সীমান্তে আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, সেই নীতিরও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo Pacific Area) প্রতিনিয়ত হুমকির কারণে কার্যত ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন। আর সেকারণেই কৌশলগত দিক থেকে বাজায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। মার্কিন কংগ্রেসের দুকক্ষে গৃহীত এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ অরুণাচল প্রদেশ। পাশাপাশি চিনের সামরিক আগ্রাসনের সমালোচনা করেছে মার্কিন কংগ্রেস। পাশাপাশি ভারত-চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতাবস্থা ধ্বংসের জন্যই দায়ি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মার্কিন সেনেটে এই প্রস্তাব পেশ করেন সেনেটর বিল হ্যাগার্টি এবং সেনেটর জেফ মার্কলে। আর মঙ্গলবার প্রস্তাবনা পেশের পর হ্যাগার্টি জানান, সেনেট যে অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে, তা এই প্রস্তাবনায় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্য যে একতরফা পদক্ষেপ করছে চিন এবং আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ করছে, তাও ওই প্রস্তাবনায় সমালোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারত এবং চিনের মধ্যে যে সীমানা টানা হয়েছে, সেটাই ম্যাকমোহন লাইন হিসেবে পরিচিত। স্যার হেনরি ম্যাকমোহনের নামে তার নামকরণ করা হয়েছিল। ওই সীমানার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৯০ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, একটি নির্দিষ্ট সীমান্তের জন্য ১৯১৪ সালে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ব্রিটিশ শাসনের আওতায় থাকা ভারত এবং তিব্বত। যদিও অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। পিপলস রিপাবলিক অফ চায়নার (Peoples Republic of China) দাবি, অরুণাচল প্রদেশ পিআরসি-র অংশ। তবে চিনের দবিকে খারিজ করে দিয়েছে আমেরিকা।

 

 

Previous articleকেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA দেওয়া হবে না, সংসদে স্পষ্ট জানালো সরকার
Next articleঅ্যা*ডিনো নিয়ে জনস্বার্থ মামলা, পার্টি হল স্বাস্থ্য দফতর !