১০০ দিনের কাজ ও গ্রামোন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, উদ্বিগ্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

একশো দিনের কাজের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মজুরি এবং প্রকল্পের উপাদান বাবদ কেন্দ্রের যে টাকা দেওয়ার কথা, তা দিচ্ছে না। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সংসদের গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।আবার এরই পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় গ্রাম স্বরাজ অভিযান প্রকল্পের আওতায় রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি।

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় জানিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ, ১৯ রাজ্যের বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সংসদীয় স্হায়ী কমিটি একথা জানিয়ে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে। সরকার অবিলম্বে এই বকেয়া মিটিয়ে দিক কোনও বাহানা ছাড়া।
বুধবার কমিটির পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-এর ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মজুরি বাবদ ৬,২৩১ কোটি এবং উপাদান বাবদ ৭,৬১৬ কোটি টাকা কেন্দ্রের তরফে বকেয়া। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে এ প্রসঙ্গে বারবার পর্যাপ্ত নথি না পাওয়ার কথা বলা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু যারা এই প্রকল্পের সুবিধা পান তাঁদের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
রাজ্যগুলির প্রাপ্য টাকা অবিলম্বে কেন্দ্র মিটিয়ে দিক, এমনটাই সুপারিশ করেছে কমিটি। কেন্দ্রের এহেন আচরণে দেশের দরিদ্র মানুষ অসুবিধায় পড়বে বলেই কমিটির পর্যবেক্ষণ।
রিপোর্টে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, “মনরেগার মতো বিশাল অনুপাতের একটি প্রকল্প যা দেশের প্রতিটি কোণে চালু রয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ সুবিধাভোগীকে জব কার্ড হোল্ডার হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে, সেখানে মজুরি দিতে দেরি হলে এবং উপাদান তহবিল আটকে
থাকলে অভাবী ব্যক্তিদের অসুবিধা হবে। মনরেগার সুবিধা এবং অর্থ না পাওয়ায় তাঁদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। এই প্রকল্পের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল সংকটের সময় দরিদ্রদের সময়মতো ত্রাণ দেওয়া।

 

Previous articleপূর্বাভাস মতো ভিজল মহানগর, ঝ*ড়ো হাওয়ার দাপট দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে
Next article‘হিপো*ক্রেট সুমন’, গায়ককে ধুইয়ে দিলেন তসলিমা !