পুরীতে আটকে পর্যটকরা, পরিবহন ধর্মঘটে জেরবার জগন্নাথ ধাম !

বুধবার থেকে ভোগান্তি শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষ তথা পর্যটকদের (Tourist)। পেনশন, বিমা পরিষেবা-সহ দশ দফা দাবিতে ধর্মঘটে বসেছিলেন ভুবনেশ্বরের (Bhubaneshwar) অটোচালকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ওড়িশার প্রায় ৫ লক্ষ বাস ও ট্যাক্সি চালকও (Bus and Taxi Pilot) সম্মিলিতভাবে ধর্মঘটের (Transport Strike) ডাক দেন। সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পুরী সহ (Puri) ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকার পরিবহন ব্যবস্থা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকদের হয়রানি জেরে অবশেষে বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়ে সমস্যা সমাধানের রাস্তা খোঁজে সরকার (Government)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহন বন্ধ থাকার পরে অটোচালকদের নিয়ে বৈঠকে বসে প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে ধর্মঘট তুলে নিতে রাজি হন অটোচালকরা।

জগন্নাথ ধাম পুরীতে প্রতি সিজনেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। ওড়িশার এই পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র এবং জগন্নাথের মন্দির। প্রতিদিন ভীড় লেগেই থাকে। স্টেশন বা এয়ারপোর্ট থেকে পুরী পৌঁছতে অবশ্যই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হয়। তাই অটো, ট্যাক্সি ,বাস বন্ধ থাকার মানে পর্যটকদের একটা বিশাল অংশ বড় সমস্যার মধ্যে পড়েন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটে কটক (Cuttack) ও পুরীর (Puri) প্রায় ১০ হাজার অটোচালক সামিল হয়েছিলেন।তাঁদের দাবি ছিল, অবসরের পর পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও বিমা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেও সুযোগ সুবিধা দিতে হবে তাঁদের। এর মাঝে কিছু পর্যটকের কথা চিন্তা করে কয়েকটি অটো চালানোর চেষ্টা হলেও, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের জোর করে ধর্মঘটে সামিল করানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরপর দুদিন পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত অচল থাকার কারণে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তারা। আপাতত ঠিক হয়েছে যে হেনস্তা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ থানায় জমা পড়বে। সেখান থেকেই অভিযোগের তদন্ত করা হবে। কিন্তু এই বৈঠকে সাধারণের সুরাহা হল কি? এ প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।

 

Previous articleবিরাটের টোটকায় জয়ে ফিরল স্মৃতিরা, ভিডিও প্রকাশ আরসিবির
Next articleরাজনৈতিক স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার! মণীশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সিবিআইয়ের