জামশেদপুর অতীত-খড়্গপুর ভবিষ্যৎ, শিল্পবান্ধব বাংলায় ফিরল টাটা

শিল্প উৎপাদনের পরিধি বাড়াতেই ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের কারখানা বন্ধ করল টাটা। আর বাংলার খড়্গপুরে জোরকদমে চালু করা হল সেই ইউনিট

সিঙ্গুরের ন্যানো বিতর্ককে দূরে ঠেলে বাংলায় নতুন করে বিনিয়োগ টাটা গোষ্ঠীর। আর জামশেদপুর নয়, এবার টাটার ডেস্টিনেশন খড়্গপুর। শিল্প উৎপাদনের পরিধি বাড়াতেই ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের কারখানা বন্ধ করল টাটা। আর বাংলার খড়্গপুরে জোরকদমে চালু করা হল সেই ইউনিট। ফলে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী টাটা গ্রুপের কাছে এখন জামশেদপুর অতীত। ভবিষ্যৎ খড়্গপুর।

জানা গিয়েছে, এটাই এখন টাটা মোটরস এবং জাপানের হিতাচি কনস্ট্রাকশন মেশিনারির যৌথ সংস্থা ”টাটা-হিতাচি”র কার্যত প্রধান ফ্যাক্টরি। সেখানে বিনিয়োগ হয়েছে কয়েকশো কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সংখ্যাটা প্রায় দু’হাজার। নতুন এই ইউনিটে খনিজ সামগ্রী খননের জন্য প্রয়োজনীয় মাইনিং এক্সক্যাভেটর এবং হাইড্রোলিক এক্সক্যাভেটরের উৎপাদন শুরু হয়েছে। বীরভূমের দেউচা-পচামির কয়লা উত্তোলন পর্বে টাটা হিতাচির নতুন ইউনিট সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে শিল্পমহল। টাটার নতুন এই ইউনিটের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নবান্নে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশনাল বোর্ডের জরুরি বৈঠকে উল্লেখও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, টাটা-হিতাচির জামশেদপুরের কারখানাটি চালু হয় ১৯৬১। বোর্ড অব ডিরেক্টর্সই জামশেদপুরে এই ইউনিট আর চালাতে চাইছে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তৎকালীন অর্থ-শিল্পমন্ত্রী বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রর দ্বারস্থ হন টাটা-হিতাচির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ সিং। তিনিই ফ্যাক্টরিটি খড়্গপুরের শিল্পতালুকে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেন। টাটার তরফে বিষয়টি জানানো হয় টোকিওতে হিতাচির সদর দফতরেও।

সূত্রের খবর, টাটা স্টিলের অপর শাখা সংস্থা “টাটা স্পঞ্জ আয়রন লিমিটেড”-এর বোর্ড অব ডিরেক্টর্সও ওড়িশার কেওনঝড়ের জোডার কারখানাটি বাংলায় সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সংস্থার সদর দফতর নিয়ে আসা হয়েছে কলকাতায়।

আরও পড়ুন:কালীঘাট থেকেই মোদি-শাহ পতনের রণনীতি? আজ মমতা সাক্ষাতে অখিলেশ

 

 

Previous articleকালীঘাট থেকেই মোদি-শাহ পতনের রণনীতি? আজ মমতা সাক্ষাতে অখিলেশ
Next articleবনির পথেই সোমা, গ্রে*ফতারি এড়াতে ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরালেন কুন্তল ‘ঘ*নিষ্ট’