প্রার্থী করার লোক নেই, শাসকদল ভা*ঙানোর চেষ্টা বিজেপির!

একুশের নির্বাচনের আগে অন্যদল থেকে লোক ভাঙিয়ে এনেও মুখ থুবড়ে পড়েছিল গেরুয়া শিবির। তারপরে থেকে বিজেপিতে (BJP) ভাঙ্গন অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিতে পারবে না, সেটা বুঝতেই পেরেছে পদ্ম শিবির। এখন শাসকদল ভাঙিয়ে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করাতে চাইছে তারা। অন্তত এমনটাই মনে হচ্ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মন্তব্য থেকে।

শনিবার, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের বসে যাওয়া নেতা, কর্মীরা বিজেপিতে স্বাগত। এতেই পরিষ্কার নিজেদের ক্ষমতায় আর বিজেপিকে চালাতে পারছেন না তাঁরা। সুকান্তর এই মন্তব্যা নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল (TMC)। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, তৃণমূলের সব প্রজন্ম একসঙ্গে লড়াই করছে। দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) সরিয়ে তো সুকান্ত মজুমদারকে আনা হল। তৃণমূলে সব সিনিয়র—জুনিয়র একসঙ্গে কাজ করছে। একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে লোক ভাঙিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু মানুষের রায়ে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। যোগদান মেলা করে অন্যদল থেকে লোক ধরে এনেছিল বিজেপি। একুশের ভোটে হারার পর অন্যা দল ভাঙিয়ে লোক নিয়ে আসা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের মধ্যে থেকেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। নতুন ও পুরনো বিজেপির লড়াই তীব্র আকার নেয়। বর্তমান নেতাদের কাজকর্মে বিজেপির পুরনো নেতা—কর্মীদের বড় অংশ আজ নিষ্ক্রিয়।

এদিকে সুকান্তর এই মন্তব্যের পর ফের সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। যে কৌশল একুশে ব্যর্থ হয়েছিল তা আবার তেইশে কেন? গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছে, বিজেপির পুরনো নেতা—কর্মীদের সক্রিয় না করে, কেন অন্যদলের সদস্যদের ফের দলে টানতে বলা হচ্ছে? তবে কি রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার শক্তি হারিয়েছে বঙ্গ বিজেপি? এই প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন- ২৮ মার্চ ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর! প্রচারে জেলায় জেলায় বড় নির্দেশ নবান্নের

Previous article২৮ মার্চ ‘রাস্তাশ্রী’ প্রকল্পের শিলান্যাস মুখ্যমন্ত্রীর! প্রচারে জেলায় জেলায় বড় নির্দেশ নবান্নের
Next articleআইএসএল চ‍্যাম্পিয়ন মোহনবাগান, টাইব্রেকারে বিএফসিকে হারাল ৪-৩ গোলে, নায়ক গোলরক্ষক বিশাল কাইথ