“কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজি, বাঁশি সংগীতহারা…”, কেন এমন কবিতা বললেন ফিরহাদ?

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কলকাতার মেয়র, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সিনিয়র লিডার হয়েও দল বা অন্য ইস্যুতে কেন মুখ খুলতে চাইছেন না ফিরহাদ হাকিম? তাহলে কি দলের নির্দেশেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত?

“কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজি, বাঁশি সংগীতহারা…”, ফিরহাদ হাকিমের মুখে হঠাৎ কেন এমন কবিতা? দলের মধ্যে কি কোণঠাসা কলকাতার মেয়র? তাই কি কিছুটা অভিমানের সুরে রবি ঠাকুরের এমন কবিতা আওড়ালেন ফিরহাদ? রাজনৈতিক মহলে এখন এমন প্রশ্ন-ই ঘুরপাক খাচ্ছে।

আজ, শনিবার কলকাতা পুরসভার “টক টু মেয়র” অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ হাকিমের মুখে “কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজি…” কবিতা শোনা গিয়েছে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এদিন তাঁর একটাই জবাব ছিল, “অনলি কর্পোরেশন!” অর্থাৎ তিনি শুধু পুরসভা সম্পর্কিত প্রশ্নেরই উত্তর দেবেন।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কলকাতার মেয়র, রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সিনিয়র লিডার হয়েও দল বা অন্য ইস্যুতে কেন মুখ খুলতে চাইছেন না ফিরহাদ হাকিম? তাহলে কি দলের নির্দেশেই তাঁর এমন সিদ্ধান্ত? রবি ঠাকুরের ওই বিশেষ কবিতার দু’লাইন বলার পর ফিরহাদ জানান, “দলের একটা শৃঙ্খলা আছে। আর মিডিয়ায় অন্যান্য বিষয় বলার জন্য মুখপাত্ররা আছেন। আমরা কেন বলব?”

অসমর্থিত সূত্রের খবর, ফিরহাদ হাকিমকে কালীঘাটে শুক্রবারের বৈঠকে সতর্ক করেছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ডিএ আন্দোলন থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতির মতো ইস্যুতে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ফিরহাদ। যেটা তৃণমূল সুপ্রিমো ভালো ভাবে নেননি। নেত্রীই নাকি তাঁকে পুরসভা সংক্রান্ত প্রশ্নের বাইরে অন্য ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন। আর সেই কারণেই সম্ভব রবীন্দ্রনাথের “কন্ঠ আমার রুদ্ধ আজি, বাঁশি সংগীতহারা…” কবিতা বলে সেটা মিডিয়াকে পরোক্ষে বুঝিয়ে দিলেন।

আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল   

Previous articleমুর্শিদাবাদে ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল   
Next articleমেধাবি ছাত্র ভাই: গ্রুপ সির পরীক্ষার নম্বর নিয়ে সরব মন্ত্রী শ্রীকান্ত