Wednesday, July 2, 2025

কয়েকজন প্রাক্তন বিচারপতি বিরোধী দলের মতো কাজ করছেন, বিস্ফো*রক কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী

Date:

Share post:

ফের বিচার বিভাগের সঙ্গে সংঘাত মোদি সরকারের।সাম্প্রতিক অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও সরকারের হয়ে সংঘাতের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।তিনি অভিযোগ করেছেন,কয়েকজন প্রাক্তন বিচারপতি বিরোধী দলের মতো কাজ করছে।তিনি বলেছেন, বেশ কিছু অবসরপ্রাপ্ত বিচারক-বিচারপতিরা ভারত বিরোধী শিবিরের অংশ ছিলেন। যারা বিচার ব্যবস্থাকে সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগাছিলেন। এবং এখানেই না থেমে তিনি বলেছেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন তাদের কড়া মূল্য চোকাতে হবে।

শনিবার রিজিজু বলেন, ‘সম্প্রতি বিচারপতিদের দায়বদ্ধতা নিয়ে এক সেমিনার হয়েছে। কিন্তু, নির্বাহী বিভাগ কীভাবে বিচার বিভাগের ওপর প্রভাব ফেলছে সেই বিষয়ে সেমিনার হয়ে গেল। কিছু বিচারপতি আছেন, যাঁরা আন্দোলনের কর্মী আর ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্য। এই ভারত-বিরোধী গোষ্ঠী বিরোধী দলগুলোর মতোই বিচার বিভাগকে সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে।’
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘কিছু লোক সুপ্রিম কোর্টে যায় আর বলে সরকারকে লাগাম দিন। এটা চলতে পারে না। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ এবং বিচারপতিরা কোনও দল বা রাজনৈতিক সংগঠনের অংশ নন। এই লোকেরা কীভাবে খোলাখুলি ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে সরকারের সঙ্গে সংঘাতে যেতে বলতে পারে?’
দিল্লির এক অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখার পাশাপাশি, রাহুল গান্ধীকেও একহাত নেন রিজিজু। তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধী বা কেউ যদি বলেন যে ভারতের বিচার বিভাগকে অপহরণ করা হয়েছে। অথবা, দেশে গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে, বিচার বিভাগ মৃত, তার মানে কী? ভারতীয় বিচার বিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই তারা বলছে যে, সরকার ভারতীয় বিচার বিভাগকে দখল করার চেষ্টা করছে।’
এরপরই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ২ মার্চের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রিজিজু জানান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাংবিধানিক লক্ষ্ণণরেখা রয়েছে। বিচারকরা যদি প্রশাসনিক নিয়োগের অংশ হন, তবে বিচারের কাজ কারা পরিচালনা করবে? নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ আছে। সংসদকে আইন করতে হবে। সে অনুযায়ী নিয়োগ করতে হবে। আমি মানছি যে, সংসদে এটির জন্য কোনও আইন নেই, একটি শূন্যতা আছে। কিন্তু আমি যা বলছি তা হল, ভারতের প্রধান বিচারপতি বা বিচারপতিরা যদি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের দায়িত্ব নেন, তাহলে বিচার বিভাগের কাজ কে এগিয়ে নিয়ে যাবে?’

কিরণ রিজিজু বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিচারকদের নাম করে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা, গালিগালাজ করাটা দুর্ভাগ্যজনক। যদি সরকারকে আক্রমণ করা হয়, যদি সরকারের সমালোচনা করা হয়, তাহলে কোনও অসুবিধা নেই। গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকারকে অবশ্যই প্রশ্ন করা উচিত। কিন্তু, বিচার বিভাগ যখন কোনও ধরনের অভিযোগ বা আক্রমণের মুখে পড়ে তখন বিষয়টি ভালো দেখায় না। এটা সঠিক নয়। আমি আইন ও বিচার মন্ত্রী হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে চাই যে এগুলি থেকে নির্লিপ্ত থাকুক বিচার বিভাগ। জনগণের সমালোচনা থেকে দূরে থাকতে হবে বিচার বিভাগকে।

 

spot_img

Related articles

কসবা ল’কলেজে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

আইন কলেজে (South Calcutta Law College)পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় বুঝে সকালে কসবা ল কলেজে পৌঁছে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University...

নিম্নচাপ সরলেও ঝড়-বৃষ্টি কমবে না রাজ্যে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি জেলায় জেলায় 

মৌসুমী বায়ুর প্রভাব কমেছে, নিম্নচাপ সরতে শুরু করেছে। আর এই দুই ঘটনার প্রভাব পড়েছে আবহাওয়ায়। বুধের সকাল থেকে...

হাওড়ায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে ইউক্যালিপটাস গাছ ভেঙে মৃত ২!

বুধের সকালে হাওড়া পুরনিগমের (Howrah Municipal corporation) প্রধান প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুর্ঘটনা। পৌনে ন’টা নাগাদ আচমকাই ভেঙে পড়ল...

শুভমনদের হোটেলের সামনে রহস্যময় পার্সেল! বার্মিংহামে প্রশ্নের মুখে টিম ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা

আজ শুরু হচ্ছে ভারত বনাম ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট Ind vs Eng 2ndTest) । প্রথম টেস্টে হেরে পাঁচ ম্যাচের...