বিরোধী জোটের মুখ কি মমতাই? কলকাতায় খোলসা করলেন অখিলেশ

তিনি বলেছেন, দেশকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করতে হবে।

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। মোদি সরকারকে মসনদ থেকে সরাতে বিরোধী ঐক্য গঠিত হবে কি? বড় প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের। সম্প্রতি কলকাতায় দলীয় সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। তৃতীয় জোটের পক্ষে সওয়াল করলেন তিনিও।তিনি বলেছেন, দেশকে বিজেপির হাত থেকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে আমাদের সকলকে গেরুয়া শিবিরকে পরাস্ত করতে হবে।

রবিবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অখিলেশ ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি-বিরোধী মোর্চা গঠনের ভিত পুঁতে দিলেন। শুক্রবার কালীঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  সঙ্গে সাক্ষাতের পর যা বলেছিলেন, এদিন প্রায় একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি।

তৃতীয় জোটের বিষয়ে আরও একটি প্রশ্ন বারে বারে উঠে আসছিল। যদি তৃতীয় জোট তৈরি হয় সেক্ষেত্রে কি মুখ হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তৃতীয় ফ্রন্টকে কে নেতৃত্ব দেবেন? এই প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দেননি অখিলেশ যাদব। বরং এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন অখিলেশ যাদব। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশের থেকে অনেক ভালো। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আছেন বলেও জানান।

অখিলেশ বলেন, কংগ্রেসের  মতোই বিজেপি আগামী দিনে শেষ হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করে কংগ্রেসের যে হাল হয়েছিল, বিজেপিরও তাই হবে বলে দাবি করেন সপা নেতা।তিনি রবিবার বলেন, আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে একটি ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা অনেকেই করছেন। কংগ্রেস জাতীয় দল। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।

যদিও বিরোধীদের তৃতীয় ফ্রন্ট  গঠনের ফর্মুলা কী হবে, তা অবশ্য খোলসা করেননি অখিলেশ।তবে তিনি বলেন,     কী হবে, কীভাবে হবে তা আমরা প্রকাশ করব না। তবে আমাদের সকলেরই লক্ষ্য বিজেপিকে হটানো। আগামী লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশ থেকে ছোট শরিকদের হাত ধরে ৮০টি আসনের মধ্যে ৫০টিতে জয়ের টার্গেট নিয়েছে সপা। অখিলেশ বলেন, ইউপিএ ২-এর আমলে কংগ্রেস জাতিভিত্তিক জনগণনার কথা বলেও  পিছিয়ে এসেছিল।আমরা চাই, বিজেপি সরকার জাতিভিত্তিক জনগণনা করুক।কিন্তু, কংগ্রেসের মতোই গেরুয়া দলও তা করতে চায় না। সপার কর্মসমিতির বৈঠকেও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ভোট কীভাবে বিজেপির গতিরোধ করা হবে, তা নিয়ে মত বিনিময় করেন নেতারা। দল স্থির করেছে যে, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোট ব্যাঙ্ককে শক্তিশালী করতে জাতিভিত্তিক জনগণনা এবং সংরক্ষণকে ইস্যু করা হবে। একইসঙ্গে সপা নেতাদের ধর্ম নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।

জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে অখিলেশ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের চোখে কংগ্রেস এবং বিজেপি অভিন্ন মতের দুটি দল। তাই তাঁরা এই দুই দলের থেকেই সমদূরত্ব নীতি বজায় রেখে চলবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য অ-কংগ্রেসি, অ-বিজেপি দলকে নিয়ে তৃতীয় মোর্চা গঠনের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

 

 

 

 

Previous articleআইএসএল চ‍্যাম্পিয়ন হয়েই পরবর্তী লক্ষ‍্যের কথা জানিয়ে দিলেন প্রীতম
Next articleকবে থেকে চালু স্কুল, ক*ড়া নোটিশ CBSE-এর