পরপর ৬ বার বিশ্বের সুখী দেশ ফিনল্যান্ড! ভারতের স্থান কততম?

অন্ন, বস্ত্র ,বাসস্থান.. প্রতিটি মানুষেরই প্রাথমিক চাহিদা। তা পূরণ হলে অনেকে সুখী হয়, কেউ বা তাতেও সুখী হয়না। আসলে সুখ জিনিসটাই আপেক্ষিক। ভারতের মতো ১৪০ কোটির দেশে সুখ একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে।বরাবরের মতো এবারও ভারত সুখী দেশের তালিকায় একেবারে শেষের সারিতে।প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্বের সুখী ও খুশি দেশের তালিকার শীর্ষস্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হল ফিনল্যান্ড।আর ভারতের স্থান ১২৫ নম্বরে।

আরও পড়ুন:হেঁটেও-নেটেও: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ডিজিটাল মাধ্যমে জোর সিপিআইএমের
২০ মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। ঠিক তার আগেই বিশ্বের সুখী দেশগুলোর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ১৫০টি দেশের মধ্যে প্রথমেই নাম রয়েছে ফিনল্যান্ড, তারপর ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড। তবে রিপোর্টে এটা স্পষ্ট যে সুখ নেই ভারতে।গত বারের রিপোর্টে ভারতের স্থান ছিল ১৪০-এ। তার আগের বছরের তালিকায় ১৩৩ নম্বরে ছিল ভারত।তবে এবারে খানিকটা এগিয়ে এসেছে ভারত।

এই নিয়ে ১০ বছর ধরে সুখী দেশের রিপোর্ট প্রকাশ করছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হয়ে কাজ করা সংস্থা ‘সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক’। বিভিন্ন দেশের মানুষকে ফোন করে নানাবিধ প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা সুখী কি না বা কেন সুখী ইত্যাদি। রিপোর্ট তৈরির সময় নজরে রাখা হয় দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক সহায়তা, কাজ করার স্বাধীনতা, দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের ‘ওয়েলবিইং রিসার্চ সেন্টার’, ‘সেন্টার ফর সাস্টেনেবল ডেভেলপমেন্ট’, ‘ভ্যাঙ্কুভার স্কুল অব ইকোনমিক্স’।


শুধু তাই নয়, রিপোর্ট তৈরির সময় ব্যক্তি স্বাধীনতা, সরকারের উপর আস্থা, সুস্থ জীবনযাপনের প্রত্যাশার মতো মাপকাঠিও মাথায় রাখা হয়। এই সব মাপকাঠিতেও ভারতের স্থান যে নীচে তা বলাই বাহুল্য। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-এ ভারত বা তার মতো দেশগুলির উপরের দিকে উঠে আসা যে কার্যত অসম্ভব তা মনে করছেন অনেকেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪০ কোটির দেশে দারিদ্র, বেকারত্ব বাড়ছে। শিশুমৃত্যু ও প্রসূতি মৃত্যুর হারেও এগিয়েও ভারত। তাই সব বেড়া ডিঙিয়ে এই দেশের বাসিন্দারা যে মহাসুখী হবেন সেটা একেবারেই নয়। রিপোর্টে আরও স্পষ্ট, মহাশক্তিধর দেশ হলেই সেখানকার মানুষ যে মহা সুখে ভরপুর হবেন, তা নয়। বরং কম জনসংখ্যার দেশগুলিতে রাষ্ট্রীয় পরিষেবার সুযোগ প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি।

 

 

Previous articleহেঁটেও-নেটেও: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ডিজিটাল মাধ্যমে জোর সিপিআইএমের
Next articleOMR-এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন চাকরিহারাদের, ঠাট্টার সুর বিচারপতির গলায় !