ডাকঘরেই ম.র্মান্তিক পরিণতি পোস্ট মাস্টারের! কারণ নিয়ে ধন্ধে পুলিশ

পোস্ট অফিসের মধ্যেই মর্মান্তিক পরিণতি পোস্ট মাস্টারের (Post Master)। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার প্রতাপপুরে (Pratapur)। এদিকে প্রতাপপুর পোস্ট অফিসের মধ্যেই পোস্ট মাস্টারের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রদ্যুৎ তিওয়ারি ওরফে তপু (৫৩)। ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করলেন তার তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।

তবে পোস্ট মাস্টারের সুইসাইড নোট ঘিরে ইতিমধ্যে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, সুইসাইড নোটে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ওই পোস্টমাস্টার। পাশাপাশি তিনি এক প্রোমোটারের (Promoter) কাছে লক্ষাধিক টাকা পাবেন বলেও সুইসাইড নোট থেকে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাশাপাশি মৃত্যুর পর নিজের সন্তানকে চাকরি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ওই সুইসাইড নোটে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকার প্রচুর মানুষের হাজার হাজার টাকা পোস্ট অফিসে জমা দেওয়ার নাম করে ওই পোস্টমাস্টার আত্মসাৎ করেছিলেন। আর সেই টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার সময় পেরিয়ে গেলেও ফেরত না পাওয়ার কারণে ক্রমশ চাপ বাড়ছিল ওই  পোস্টমাস্টারের। সে কারণে তিনি বাধ্য হয়ে আত্মহত্যার পথ তিনি বেছে নিয়েছেন বলে মত এলাকাবাসীদের।

তবে এদিন প্রাপ্য টাকা ফেরতের দাবিতে ওই মৃতদেহ ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসী। বিষয়টি ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো যাবে না বলেই দাবি গ্রামবাসীদের। এরপরই হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে এবং মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর মর্গে পাঠায়। অন্যদিকে, ওই পোস্ট মাস্টারের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পোস্ট অফিসের টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্যার জেরেই প্রদ্যুৎ তিওয়ারীকে হেড অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। আর চাকরি চলে গেলে নিজের মান সম্মান যাওয়ার আশঙ্কায় চলে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ।

 

 

Previous articleবাধা পেরিয়ে অবশেষে বাজেট পেশ কেজরি সরকারের, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বিপুল বরাদ্দ
Next articleকো*ভিড বাড়ছে, বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী !