মাল্টিপল মায়ে*লোমার সচেতনতায় মণিপাল হাসপাতালের বিশেষ উদ্যোগ !

ক্যান্সার (Cancer) রোগটার নাম শোনা মাত্রই একরাশ চিন্তা এসে মনের কোণে উঁকি দেয়। এই মারণ রোগের চিকিৎসায় দ্রুত উন্নততর পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য প্রত্যেকটা মুহূর্তে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ক্যান্সারের (Cancer) বিভিন্ন প্রকারভেদে রোগীর দেহে একাধিক পরিবর্তন দেখা যায়। মাল্টিপল মায়েলোমা (Multiple myeloma) এমন এক ব্লাড ক্যান্সারের প্রতিরোধ যা প্লাজমা কোষ থেকে সৃষ্টি হয়। যদিও ভারতে এই রোগের ব্যাক্তি খুব একটা বেশি না হলেও মেট্রো শহরে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে মণিপাল হাসপাতালের (Manipal hospital) তরফ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বৃহস্পতিবার।

ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের মণিপাল হাসপাতালের কনসার্টেন্ট হেমাটোলজি, হেমাটো অনকোলজি, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ডা. মল্লিকার্জুন কালশেট্টি এবং ডাক্তার আশিস দীক্ষিত সুস্থ জীবন যাপন করার লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে এই রোগের শনাক্তকরণের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন। অস্থিমজ্জা পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নির্ণয় সম্ভব বলে এদিন জানানো হয়। তিনি জানান উন্নত ইমাজিং টেকনিকের সঙ্গে হাড়ের মূল্যায়নের ফলে এই রোগ সম্পর্কিত তথ্য মেলে। গত কয়েক দশকে এই রোগের চিকিৎসার অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যাঙ্গালোরের ওল্ড এয়ারপোর্ট রোডের মণিপাল হাসপাতালে কর্নাটকের প্রাচীনতম অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন কেন্দ্র রয়েছে। অত্যাধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত এই হাসপাতালে এই ধরনের রোগের সুচিকিৎসার কথাও উল্লেখ করা হয়। স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতির মাধ্যমে মাল্টিপল মায়েলোমার চিকিৎসায় এগিয়ে আছে এই হাসপাতাল, উল্লেখ করেন ডাক্তার আশিস দীক্ষিত। ইমিউনাল থেরাপি এবং মনোক্লোনাল অ্যান্টিবায়োটিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসায় সাফল্য এসেছে বলেও আজকের আলোচনায় উঠে আসে। যাতে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি করে এই রোগ সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগের শনাক্তকরণ করা সম্ভব হয় সেই লক্ষ্যেই মণিপাল হাসপাতালের এই বিশেষ উদ্যোগ।

 

Previous articleঅজিদের কাছে সিরিজে হার ভারতের, বি*ষ্ফোরক গাভাস্কর
Next articleনিয়োগ দুর্নী*তির সূত্রপাত বাম আমলেই ! প্রকাশ্যে ২০০৯-১০-এর CAG রিপোর্ট