রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্যকে ‘উৎখাত’! বাংলা বিরোধীদের মুখোশ খুললেন অভিষেক

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কারণে যে শান্তিনিকেতনকে আজ সারা বিশ্বের মানুষ চেনে সেই শান্তিনিকেতনের ফলক থেকে কবিগুরুর নাম মুছে দিয়েছে এই বিজেপির সরকার

বাংলা বিরোধী একাধিক নিদর্শন বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে বারবার দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার থেকে সেই সব নিদর্শন তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। এই বাংলা বিরোধী বিজেপির একাধিক নিদর্শন বীরভূম জেলাতেই রয়েছে। শনিবার বীরভূমের দুরবরাজপুরে নির্বাচনী জনসভা থেকে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অমর্ত্য সেনের অপমানের উদাহরণ তুলে ধরে বিজেপির বাংলা বিরোধী মনোভাবকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২৩ সালে শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করে ইউনেসকো। ঘোষণার পরই তৎকালীন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফলক বসিয়ে ঘোষণা করে দেন এই স্বীকৃতির কথা। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ফলক থেকে বাদ পড়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বদলে সেখানে জায়গা পায় নরেন্দ্র মোদির নাম, শুধুমাত্র আচার্য হিসাবে তাঁর নাম ফলকে তুলে দেন কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

শনিবার দুবরাজপুরের নির্বাচনী প্রচার থেকে কেন্দ্রের সরকারের বাংলা বিরোধী মনোভাবকে তুলোধনা করে অভিষেক বলেন, “বীরভূমের লালমাটির জেলা বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে সেই মাটিকে কীভাবে বিজেপির সরকার কলুসিত কালিমালিপ্ত করেছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কারণে যে শান্তিনিকেতনকে আজ সারা বিশ্বের মানুষ চেনে সেই শান্তিনিকেতনের ফলক থেকে কবিগুরুর নাম মুছে দিয়েছে এই বিজেপির সরকার, দেশবিরোধী জনবিরোধী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।”

সেই সঙ্গে তিনি নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর অপমান নিয়েও বিজেপি সরকারের মুখোশ খুলে দেন। তিনি বলেন, “অমর্ত্য সেনের মতো নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ, তাঁকে তাঁর বাড়ি থেকে উৎখাত করার জন্য নোটিশ দিয়েছিল। পরবর্তীকালে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে তাঁর বাড়িতে, তাঁর হাতে তাঁর জমির দলিল তুলে দিয়েছেন যে, তাঁর জায়গার প্রতি তাঁর পূর্ণ অধিকার রয়েছে।” সেখানেই তিনি দাবি করেন, ” এই কারণেই আমরা বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলছি।”

Previous articleভালো সময়েই ৩০৩, এবার ২০০ পেরোবে না! বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ মমতার
Next articleইস্টবেঙ্গলেই থেকে গেলেন হিজাজি-ক্রেসপো : সূত্র