নয়া রিপোর্ট আনতে চলেছে ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’! ফের মোদি-ঘনিষ্ঠ আদানিকে নিশানা?

আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণাকারী সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হু হু করে দাম কমেছে আদানি সংস্থার শেয়ারের। আদানিকাণ্ডের আঁচ পড়েছে ভারতের রাজনীতিতেও । আদানি ইস্যু নিয়ে রীতিমত উত্তাল সংসদ। বিরোধীরা মোদি ‘ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে জেপিসি (যৌথ সংসদীয় কমিটি) এবং ইডি তদন্তের দাবি তুলেছেন। শেয়ার বাজারে আদানিকাণ্ডের প্রভাব যাচাই করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এই পরিস্থিতিতেই আরও একটি ‘বড় রিপোর্ট’ আনতে চলেছে হিন্ডেনবার্গের রিসার্চ।এবারও কী আদানির সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন ‘বোমা ফাটাতে’ এই রিপোর্ট ? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

আরও পড়ুন:গলায় ‘অ্যা.রেস্ট আদানি’ স্লোগান! অর্থমন্ত্রী ও ইডির দফতরের সামনে ধর্না-বি.ক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের

বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় সংবাদ বিষয়ক টুইটার হ্যান্ডল ‘দ্য স্পেক্টেটর নিউজ’-এর একটি টুইটে লেখা হয়েছে, ‘‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, যার রিপোর্টের জেরে ভারতের আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম এবং ব্যবসা প্রচণ্ড কমেছে, তারা জানিয়েছে, আরও একটি ‘বড় রিপোর্ট’ আসছে।’’ তবে হিন্ডেনবার্গের নয়া রিপোর্টে আবার আদানিদেরই নিশানা করা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গত ২৪ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, এক দশক ধরে আদানি গোষ্ঠী তাদের সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ১২,০০০ কোটি ডলার (প্রায় ৯,৭৯,৮০০ কোটি টাকা) নিট সম্পদের ১০,০০০ কোটিই এসেছে গত তিন বছরে, দামে কারচুপির মাধ্যমে শেয়ার সম্পদ চড়িয়ে। গড় বৃদ্ধি ৮১৯ শতাংশ!

মরিশাস, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো কিছু দেশ আদানি পরিবারের মালিকানাধীন কিছু ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে বেআইনি আর্থিক লেনদেন চালানো হয় বলেও অভিযোগ করা হয় রিপোর্টে। বলা হয়েছে, কর ছাড়ের সুবিধা মেলে এমন দেশগুলিতে ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন, কর ফাঁকি এবং আইন ভেঙে নথিভুক্ত সংস্থা থেকে অন্যত্র টাকা সরানোয় লিপ্ত ছিল আদানিরা। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই শেয়ার বাজারে আদানিদের শেয়ারের দর পড়তে শুরু করে। বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় গৌতমের সংস্থাকে। অন্যদিকে আদানিকাণ্ড নিয়ে সরব হয় বিরোধীরাও। আদানি গোষ্ঠীতে বিপুল লগ্নি করা দুই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) এবং ভারতীয় জীবনবিমা নিগম (এলআইসি) কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করে বলতে হয়েছে, আদানিদের ভরাডুবি হলেও যেন তাদের গ্রাহকেরা সুরক্ষিত থাকেন।

 

 

Previous articleগোলশূন‍্য ড্র ডেভেলপমেন্ট লিগে কলকাতা ডার্বি
Next articleযুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষায় সহমত মমতা-নবীন, জোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডরের উপর