গলায় ‘অ্যা.রেস্ট আদানি’ স্লোগান! অর্থমন্ত্রী ও ইডির দফতরের সামনে ধর্না-বি.ক্ষোভ তৃণমূল সাংসদদের

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সংসদে অধিবেশন শুরুতে হতেই আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি জানাতে থাকেন বিরোধীরা।

আদানি (Goutam Adani) ইস্যুতে দ্রুত তদন্তের দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সহ একাধিক বিরোধী দল। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate) ও সিবিআই (CBI) দফতরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর (Union Finance Minister) দফতরের সামনে ধরনা প্রদর্শন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা (TMC MP)। তবে প্রথম থেকেই যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে আদানি ইস্যুতে তদন্তের দাবি তুলেছে তৃণমূল। বিরোধীদের এই দাবিতে সংসদের চলতি অধিবেশন বারবার মুলতুবি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের (Nirmala Shitaraman) সঙ্গে দেখা করে গৌতম আদানিকে অবিলম্বে গ্রেফতারের (Arrest) দাবি জানাল তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, এদিনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen), আবির বিশ্বাস (Abir Biswas), মৌসুম নূর (Mousoum Nur) ও সুস্মিতা দেব (Susmita Dev) এবং ছিলেন লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল (Pratima Mondal), আবু তাহের খান (Abu Taher Khan), খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman) ও সুনীল মণ্ডল (Sunil Mondal)।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সংসদে অধিবেশন (Parliament Session) শুরুতে হতেই আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির (Joint Parliamentary Committee) দাবি জানাতে থাকেন বিরোধীরা। এদিকে বিজেপি সাংসদরাও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘নরেন্দ্র মোদি’ (Rahul Gandhi) ইস্যুতে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। তবে এদিন শাসক ও বিরোধীদের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানের মাঝেই দুপুর ২ টো পর্যন্ত মুলতুবি (Adjourned) হয়ে যায় রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন। এর মধ্যেই যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের (Investigation) দাবিতে রাজধানী শহরে ইডির দফতরে ধরনা প্রদর্শনে সামিল হন তৃণমূল সাংসদরা। অভিযোগ, এদিন সকালে আদানি ইস্যুতে শুধু ইডি দফতরেই নয়, তদন্তের দাবি নিয়ে সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দফতরেও হাজির হন তৃণমূল সাংসদরা। তবে তাঁদের অভিযোগ কোনও দফতরই কার্যত শুনতে চাননি বলেই অভিযোগ। এরপরই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রীর দফতরে গিয়ে ‘অ্যারেস্ট আদানি’ লেখা টুপি পড়ে প্রতীকী প্রতিবাদে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।

এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বিষয়টির তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। দলের তরফে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরা আমাদের জনতার দুর্দশার জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ও ন্যায়ের দাবিতে আমরা কখনওই ঝুঁকতে রাজি নই।

সূত্রের খবর, এদিন সংসদের অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পরই স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসেন তৃণমূলের সাংসদরা। সেই বৈঠকেই তৃণমূল সাংসদরা সমস্ত কিছু পরিকল্পনা করেন। আর সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই এদিন দুটি দলে ভাগ হয়ে যান তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সংসদ ভবনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের অফিসে হাজির হন। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখানে আদানির গ্রেফতারের দাবি জানান তাঁরা। তবে আগাম অনুমতি না থাকায় তাঁদের গেটেই আটকে দেওয়া হয়। তবে তৃণমূল প্রতিনিধিদের হাতে লেখা একটি চিঠি ইডির আধিকারিকদের কাছে পৌঁছয় বলে খবর।

 

 

 

Previous articleনৃশংস! গিরিডিতে সদ্যোজাতকে ‘পায়ে পিষে মারল’ খোদ পুলিশ
Next articleবুধবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে অনন্য নজির রোহিতের