গ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশ্বের সমস্ত দেশকে বিশেষ পদক্ষেপ করার বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) বড় প্রভাব পড়ছে নদীর উপরেও। আর তার জেরেই হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের একাধিক নদী- সিন্ধু (Indus), গঙ্গা (Ganga) ও ব্রহ্মপুত্র (Brahmaputra) নদীর জলের প্রবাহ ক্রমশ কমছে। সম্প্রতি এমনই সতর্কবার্তা দিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nation) মহাসচিব জেনারেল অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব (Antenio Gutteras) বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের জন্য হিমবাহগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে পৃথিবীতে ১০ শতাংশ হিমবাহ রয়েছে। কিন্তু, বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে ক্রমশই সেগুলি গলতে শুরু করেছে।

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর আন্টার্কটিকায় ১৫ বিলিয়ন টন বরফ গলছে। গ্রিনল্যান্ডে ২৭ বিলিয়ন টন গলছে। এরপর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি হিমবাহ রয়েছে হিমালয়ে। সেগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে ওই সমস্ত হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলিতেও। উল্লেখ্য, এশিয়ার ১০টি বড় নদীর উৎপত্তি হিমালয়ের হিমবাহ থেকে। আর ওই সমস্ত নদীর জল পান করেই জীবনধারণ করেন দেশের প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ। ফলে এই সমস্ত নদীগুলির জলের প্রবাহ কমলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনযাত্রার উপর যে বড় প্রভাব পড়বে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।

তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হিমবাহ এবং বরফের স্তর আগামী কয়েক দশক ধরে এভাবে কমতে থাকলে সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মতো হিমালয় অঞ্চলের প্রধান নদীগুলির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি তিনি মনে করিয়ে দেন পাকিস্তানের মতো বন্যা পরিস্থিতি হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলগুলিতেও হতে পারে এবং কেদারনাথ বিপর্যয়ের মতো ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।

 

 

Previous articleজেল হেফাজতেই জিতেন্দ্র, ১৪ দিনের সুপ্রিম রক্ষাকবচ চৈতালির
Next article২৯ ও ৩০ মার্চ কলকাতাসহ ব্লকে ব্লকে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি, জানালেন চন্দ্রিমা