জেল হেফাজতেই জিতেন্দ্র, ১৪ দিনের সুপ্রিম রক্ষাকবচ চৈতালির

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এদিকে, আসানসোল সিজেএম আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

আসানসোল কম্বলকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে আপাতত ১৪ দিনের রক্ষাকবচ পেয়েছেন চৈতালি। তাঁর সঙ্গে কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত ও যুবনেতা তেজ প্রতাপ সিং-এর আগাম জামিনের আবেদনের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এদিকে, আসানসোল সিজেএম আদালতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিব চর্চা অনুষ্ঠান হয়। ধর্মীয় সেই অনুষ্ঠানে জিতেন্দ্রর স্ত্রী কাউন্সিলর চৈতালির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি প্রতীকী হিসাবে কয়েকজনের হাতে কম্বল তুলে দিয়ে চলে যান। এরপরই শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মৃত এক ব্যক্তির পরিজন। একাধিকবার পুলিশ গিয়ে চৈতালি ও জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে একাধিকবার জেরা করা হয়। এরপর জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।

শনিবার আচমকাই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে। পুলিশের এফআইআরে ১২ জনের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ ছিল। তাঁদের মধ্যে চৈতালী ও বাকি এই দুজনের আগাম জামিনের আবেদনে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই যুক্তি দেখিয়েই নিম্ন আদালতে জিতেন্দ্রর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও তা ধোপে টেকেনি। তাই আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে জিতেন্দ্রকে।

 

Previous articleগ্রুপ সি এবং নবম-দশম নিয়োগ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের
Next articleগ্লোবাল ওয়ার্মিং ঠেকাতে বিশ্বের সমস্ত দেশকে বিশেষ পদক্ষেপ করার বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের