ধৃত নীলাদ্রিকে চার বছর আগে গ্রেফ*তার করেছিল সিআইডি!

স্কুল-সহ সরকারি চাকরির নামে প্রতারণার মামলায় সিআইডি গ্রেফতার করেছিল নীলাদ্রি দাসকে। সিআইডি সূত্রের খবর, তদন্ত শুরু হতে আচমকাই ‘প্রভাবশালীর’ অঙ্গুলিহেলনে থমকে যান গোয়েন্দারা। এক মাসের মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্ট থেকে জামিনও পান নীলাদ্রি। সেই অভিযুক্তকেই এ বার স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার পরেই ফের উঠে এসেছে সিআইডির পুরনো মামলার তথ্য!

বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজউদ্দিন এবং বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে সেই মামলায় সরকারি কৌঁসুলি জানিয়েছিলেন, নীলাদ্রিকে গ্রেফতারের পরে অনয় সাহা ছাড়া আর এক অভিযুক্তের বয়ান বাদ দিয়ে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেননি তদন্তকারীরা। সিআইডির দুই অফিসারও কোর্টে হাজির হয়ে জানিয়েছিলেন যে, অভিযুক্তকে আটকে রাখার প্রয়োজন নেই। তার পরেই নীলাদ্রিকে জামিন দেয় কোর্ট। তার পর থেকে তদন্ত কী এগিয়েছে তা স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছেই। তবে তাঁরা বলেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা আদালতের ‘স্পেশাল কোর্টে’ সেই মামলা এখনও ‘চলছে’।

নীলাদ্রিকে গ্রেফতার করার পরে সিবিআই সূত্র দাবি করেছে, উত্তরপত্র বিকৃতি ছাড়াও নীলাদ্রি চাকরি বিক্রির সঙ্গে জড়িত। ২০১৫ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এসএসসির অধীনে পাঁচটি পরীক্ষায় উত্তরপত্রের মূল্যায়নে নীলাদ্রির জড়িত থাকার পাশাপাশি নাম জড়িয়েছে এসএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহেরও। সুবীরেশ এবং শান্তিপ্রসাদ, দুজনেই রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ।

 

Previous articleবাম আমলে না হওয়া রাস্তা তৈরি শুরু করল কানাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত
Next articleরবিবারে রূপবদল, মেঘে ঢাকা বিকেলের আকাশে বৃষ্টির সত*র্কবার্তা !