মেজিয়ার কৃষকদের ‘ছাই-চাপা কপালে’ আশোর আলো দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী!

ফ্লাই অ্যাmশে চাপা পড়ে গিয়েছিল বাঁকুড়ার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে কৃষকদের ভাগ্য। মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের (Mamata Banerjee) আশার আলো দেখলেন কৃষকরা। বাঁকুড়ার (Bankura) উপর দিয়ে হেলিকপ্টারে যাওয়ার সময় বাঁকুড়ার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের চাষের জমি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাদা ছাইয়ের আস্তরণে ঢাকা বিশাল এলাকা। বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুেৎ কেন্দ্রের ফ্লাই অ্যাশে (Fly Ash) চাষের অযোগ্য হয়েছে মাটি। দ্রুত উদ্যোগ নেন মমতা। তার জেরেই কৃষকদের ৭.৯২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্যে হল মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Mejia Thermal Power Station)।

তাপবিদ্যুপৎ কেন্দ্রের কয়লা পোড়া ছাইকেই বলা হয় ফ্লযাr ই অ্যা শ। দুর্লভপুরের কাছে দামোদর ভ্যা লি কর্পোরেশনের কয়লাচালিত তাপবিদ্যুaৎ কেন্দ্র মেজিয়ার উড়ন্ত ছাই ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বাতাসে ভেসে উড়ে যেতে পারে কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত। অত্য।ন্ত ক্ষতিকর এই ফ্লাই অ্যাকশ। তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই ছাই। মেজিয়াতেও তাই হয়। ফলে নষ্ট হয়ে যায় জমির উর্বরতা। মুখ্যামন্ত্রী বুঝতে পারেন, ধানচাষ তো দূর, কোনও গাছই লাগানো যাবে না ওই এলাকায়। তিনিই নির্দেশ দেন, গ্রিন ট্রাইবুনালে মামলা করার। সেই মতো মামলা করে পরিবেশ দফতর। পরিবেশমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার (Manas Bhunia) কথায়, ‘‘ রাজ্যের মানুষের প্রতি মুখ্যশমন্ত্রী কতটা সহানুভূতিশীল, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। চাষের জমির নষ্ট হলে কৃষকরাও যে দুরাবস্থায় পড়বেন, তা বুঝতে পেরেই ব্য।বস্থা গ্রহণ করেন তিনি।’’ পরিবেশমন্ত্রী জানান, ২০১৭ থেকে ২০২৩– টানা ৬বছর পরিবেশ দফতরের আইনজীবী এবং গবেষকরা লড়াই করেছেন।

পরিষেব দফতরের সচিব রোশনি সেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে জেলাশাসকের কাছে ২০ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয় সংস্থাকে। ৬ বছর ধরে পরিবেশ আদালত শুনানি চলে। শেষে ন্যা শনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল নির্দেশ দেয়, ৭.৯২ কোটি টাকা দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের। পাশাপাশি, একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে তাপবিদ্যু ৎ কেন্দ্রের আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত জমি খতিয়ে দেখতে হবে। কীভাবে তা পুনরুদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে পথ দেখাবে। সে কাজটাও করতে হবে মেজিয়া তাপবিদ্যুতৎ প্রকল্পের আধিকারিকদের।

কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী যদি অতিরিক্ত টাকা লাগে তাও দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেজিয়া তাপবিদ্যু ৎ প্রকল্পকে। তবে, মামলা এখনও শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশসচিব। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মতো, শুধু জমি নয়, শারীরিক ক্ষতি হলেও তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারণ, চিকিৎসকদের মতে, ফ্লাই অ্যা শের মাধ্যদমে শারীরে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এতে সীসা, আর্সেনিক, পারদ, ক্যাডমিয়াম এবং ইউরেনিয়াম থাকে। এর থেকে শ্বাসযন্ত্রের নানা সমস্যাা থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। মামলা শেষ হলে আর কী রায় দেওয়া হয় সেটাই দেখার।

Previous articleগুজরাটে BJP নেতাদের সঙ্গে একমঞ্চে বিলকিসের ধর্ষক, ফুঁসে উঠলেন মহুয়া
Next articleদক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা! দাপট দেখাবে ঝোড়ো হাওয়া