রাহুল ইস্যুতে দূরত্ব ঘুচল! উত্তাল সংসদ, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূল

রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের ঘটনা গণতন্ত্রের লজ্জা বলে উল্লেখ করেছে বিরোধীরা। অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপি জমানায় দেশের গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হওয়ার আরো একটি উদাহরণ এটি। ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এক জোট হয়েছে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এতদিন কংগ্রেসের(Congress) সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেও রাহুল ইস্যুতে এবার হাত শিবিরের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল তৃণমূলকে(TMC)। সংসদে বিরোধীদের বিক্ষোভে সামিল হওয়ার পাশাপাশি এদিন কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা গেল তৃণমূলের দুই সাংসদকে।

সোমবার সংসদ অধিবেশন শুরু হতেই রাহুল ইস্যুতে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের দুই পক্ষ। সকালে কয়েক মিনিটের মধ্যেই অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায় বিকেলেও দেখা যায় একই ছবি। পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে বিজেপি বিরোধীতায় সোমবার কংগ্রেসের বৈঠকে উপস্থিত হতে দেখা যায় তৃণমূলকে। মল্লিকার্জুন খাড়গের  ডাকা বৈঠকে যোগ দেন তৃণমূলের দুই সংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় । বৈঠক শেষে প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ,” নেত্রীর নির্দেশে আমরা এই ইস্যুতে গণতন্ত্র বাঁচানোর লক্ষ্যে কংগ্রেসের পাশে আছি । পরবর্তী আন্দোলন কোন পথে হবে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, সকালের বৈঠকে তৃণমূল যোগ দেওয়ায় খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। ডেরেক ও ব্রাইনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। সংসদ ভবন চত্ত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাদরে মিছিলের মধ্যস্থলে নিয়ে যান জয়রাম রমেশ। এমনকী, মিছিলের সামনের সারিতে ব্যানার হাতে দেখা যায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।

কংগ্রেসের সঙ্গে বৈঠক সেরে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারপর সেখান থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল সহ বিরোধীরা। হাতে ছিল “সত্যমেব জয়তে “লেখা ব্যানার। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আগামী পরিকল্পনা ঠিক করতে একটি নৈশ ভোজ বৈঠকের আয়োজন করেছেন মল্লিকার্জুন খারগে। সেই বৈঠকেও যাবেন তৃণমূলের দুই সাংসদ জহর সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আগামী বুধবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধরনা প্রদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই দিল্লিতে সংসদে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে ধরনা দেবে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ইস্যুতে, বিশেষ করে দেশের গণতন্ত্র, সংসদীয় রাজনীতির মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে আমরা সবার সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, “তারা এমন একটা সময়ে এসেছে, যখন সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হল গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে, সংসদকে রক্ষা করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করতে হবে।”

Previous articleফ্রান্সকে নিয়ে গান, বিতর্কে মেসি
Next articleআমন্ত্রণ পেয়েও দিল্লিতে ‘পালিয়েছেন’ বিজেপি নেতারা! মিথ্যাচার ফাঁস তৃণমূলের