মোদি সরকার রাজনৈতিক ‘প্রতিহিং*সাপরায়ণ’! সব অবিজেপি দলকে একজোট হওয়ায় বার্তা দীপঙ্করের

যে দলগুলিই বিজেপির বিরোধিতা করছে তাদের নেতানেত্রীদেরই কেন্দ্র এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করছে। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে মোদি সরকারকে তুলোধনা করলেন সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাজ্য আঞ্চলিক সরকারের সঙ্গে অন্য দলের বিরোধিতা থাকতেই পারে, কিন্তু দেশের প্রশ্নে সব অ-বিজেপি দলগুলিকে একজোট হতে হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টিকে সামনে রেখে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিরোধিতায় কেন্দ্রের মোদি সরকার বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে বলে তীব্র আক্রমণ করেন সিপিআইএমএল নেতা। তাঁর কথায়, রাজ্যের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে বাংলাকে কেন্দ্রীয় সরকার কোণঠাসা করতে চাইছে বলে তুলোধনা করেন তিনি।

দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, বাংলার মনুষ ১০০দিনের কাজ করেও টাকা পাচ্ছেন না। কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জন্যেই বাংলা আজ বঞ্চিত। দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলা ১০০দিনের প্রকল্পের টাকা পাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার বাংলার মানুষ।

আরও পড়ুন- সমাজমাধ্যমে সন্তানের ছবি ? এবার শা*স্তি পাবেন মা- বাবা !

সিপিআইএমএল নেতার অভিযোগ, যে দলগুলিই বিজেপির বিরোধিতা করছে তাদের নেতানেত্রীদেরই কেন্দ্র এজেন্সি দিয়ে হেনস্থা করছে। বিআরএস নেত্রী কবিতা, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধী- সবাই কেন্দ্রের বৈষম্যমূলক রাজনীতির শিকার- অভিযোগ দীপঙ্করের। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পর খারিজ ও ২বছরের কারাদন্ড বিষয়ে সিপিআইএমএল নেতা বলেন, এর আগে কোনও রাজনৈতিক নেতার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। এই ধরনের মামলায় এটাই সর্বোচ্চ সাজা। কিন্তু এটা আগে কখনও প্রয়োগ হয়নি। ২০১৯-এর একটা মামলার পরে, ২০২৩-এ রাহুল গান্ধী সংসদে আদানি নিয়ে সরব হতেই তাঁকে বিরুদ্ধে মামলা খুঁচিয়ে তোলা হল। আর সাজা ঘোষণার পরেই তাঁরা সাংসদপদ খারিজ হল। অথচ বিজেপি নেতাদের ক্ষেত্রে তাঁদের সময় দেওয়া হয়, যাতে তাঁরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ পান। অথবা আদালত থেকে মামলায় স্থগিতাদেশে নিয়ে সাংসদে যোগ দিতে পারেন। অথচ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা স্বস্ত্বও মহম্মদ ফৈয়জলকে সংসদে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন দীপঙ্কর। রাহুল গান্ধীর বিষয়কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধীদলগুলিকে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেন দীপঙ্কর। তাঁর কথায়, এই ইস্যুতে কংগ্রেসের পাশে আছেন তাঁরা।

আদানির আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়েও তোপ দাগেন দীপঙ্কর। বলেন, এতবড় কর্পোরেট স্ক্যাম আর হয়নি। আর তার বিরুদ্ধে ভারত সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হঠাতে সব অবিজেপি দলগুলিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানান সিপিআইএমএল নেতা।

 

Previous articleকালীঘাটে পুজো দিলেন নাইট অধিনায়ক, ক্রীড়ামন্ত্রীকে নতুন জার্সি উপহার কেকেআরের
Next articleবিদেশিনীর সন্তান কখনো দেশভক্ত হয় না: রাহুল প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বি*তর্ক