২২ লাখি গেরো তিনবারের হেরো: জবাব হারিয়ে কুণালকে অশালীন আক্রমণ শতরূপের

সর্বহারা শতরূপের ২২ লাখি গাড়ি! দেড় বছরে কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠলেন সিপিএমের এই হোলটাইমার? গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি নথি তুলে ধরে কুণাল শতরূপের মুখোশ খুলতেই নখ-দাঁত বের করেন কসবা থেকে হারের হ্যাট্রিক করা সিপিএম নেতা

“আমার বাবা কার নামে গাড়ি কিনবেন, সেটা কুণাল ঘোষের বাবা ঠিক করবেন না। কুণাল ঘোষের বাবার হয়তো নামে বেনামে অনেক সন্তান। আর আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান।” এমনই আপত্তিকর মন্তব্য করে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন সিপিএমের অসভ্য তরুণ নেতা শতরূপ ঘোষ। পার্টির সদর দফতর আলিমুদ্দিন থেকে এমনই আরও অনেক আপত্তিকর মন্তব্য করেন শতরূপ।

সর্বহারা শতরূপের ২২ লাখি গাড়ি! দেড় বছরে কীভাবে ফুলেফেঁপে উঠলেন সিপিএমের এই হোলটাইমার? গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি নথি তুলে ধরে কুণাল শতরূপের মুখোশ খুলতেই নখ-দাঁত বের করেন কসবা থেকে হারের হ্যাট্রিক করা সিপিএম নেতা।

প্রসঙ্গ এড়িয়ে নজর অন্যদিকে ঘোরাতে গিয়ে শতরূপ বলেন,
“আমার বাবা-মা স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিক ছিলেন। আমি রসিদ দেখাচ্ছি। আমার এসবিআই ব্যাঙ্কের চেক থেকে আড়াই লাখ দি। বাবার ব্যাঙ্কের চেক থেকে ১৮ লাখ টাকা পেমেন্ট করা হয়। বাবার নাম শিবনাথ ঘোষ। ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক গড়িয়াহাট ব্রাঞ্চ ২০২২ সালে বাবা একটি ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে ফেলেন। একাধিক ফিক্সড ডিপোজিট, যা ২০২৬ সাল পর্যন্ত ভ্যালিড ছিল। তার সমস্ত মিড টার্ম ভেঙে টাকা তোলা হয়।”

এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু তারপর শতরূপ নিজের কলঙ্ক ঢাকতে কুণাল সম্পর্কে যে মন্তব্য করলেন তা যে কোনও শিক্ষিত সমাজকে লজ্জা দেবে। শতরূপের কথায়,
“কুনাল ঘোষের বাবার হয়তো নামে বেনামে অনেক সন্তান। আর আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান। জেলে থাকার সময় ওর মাথায় কেউ মেরেছিল? আমার সখ-আহ্লাদ নিয়ে বেশি ভাববেন না প্লিজ। দরকারে আর্থিক তছরুপ বিভাগে জানান। ঘেউ ঘেউ করবেন না। কুনাল যদি টেস্ট টিউব বেবি না হয়, আশা করি ওরও মা-বাবা আছে। আপনি পার্থর মতো শখ-আহ্লাদ করুন। জীবন রঙিন করে তুলুন।”

মুখোশ খুলতেই ক্ষেপে লাল শতরূপ

সাম্প্রতিক সময়ে সিপিএমের একের পর কেচ্ছা উঠে আসছে। বাম জমানায় হোল টাইমাদের অসৎ উপায়ে চিরকুটে চাকরি থেকে শুরু করে অযোগ্যদের ঘুরপথে নিয়োগ, তথ্য উঠে আসতেই প্রবল অস্বতিতে সিপিএম। এবার সামনে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিপিএমের নতুন প্রজন্মের নেতা শতরূপ ঘোষ সম্প্রতি একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন। যার বর্তমান বাজার দর ২২ লক্ষ টাকা। এবং পুরোটাই এককালীন পেমেন্ট করা হয়েছে শতরূপের তরফে। গাড়ি বুক করা হয়েছিল গত বছর নভেম্বর মাসে। আর শতরূপ গাড়ি হাতে চলতি জানুয়ারির শুরুতে। গাড়িতে নিজের পছন্দসই নম্বর নিতেও টাকা খরচ করতে কার্পণ্য করেনি সিপিএম নেতা শতরূপ। খুব স্বাভাবিকভাবেই
প্রশ্ন উঠছে নিজেকে হোলটাইমার দাবি করা শতরূপের এমন লাইফ স্টাইল কীভাবে সম্ভব? ২০২১ সালে যে শতরূপ তার নির্বাচনী হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান দেখিয়েছেন ২ লক্ষ টাকার, মাত্র দেড় বছরের ব্যবধানে কীভাবে ২২ লক্ষ টাকার গাড়ি কিনতে পারেন এই হোলটাইমার নেতা?

আজ, মঙ্গলবার বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি শতরূপের গাড়ি ক্রয় সংক্রান্ত সমস্ত সরকারি নথি তুলে ধরেন।

কুণাল ঘোষ লিখছেন, “এই গাড়ির ক্রেতা কি আমাদের পরিচিত শতরূপ ঘোষ? 2021সালে নির্বাচনী হলফনামায় মোট সম্পদ 2 লক্ষ টাকা। এখন, 2023 সালে সানেই মোটর শোরুম থেকে মারুতি সুজুকির নতুন বিলাসবহুল মডেল গ্র্যান্ড ভিটারা কিনেছে দাম+ আনুষঙ্গিক খরচ প্রায় 22 লক্ষ টাকা দিয়ে। গাড়ির নম্বর WB06Y2230. গাড়ি শতরূপের নামে। এককালীন পেমেন্ট করেছে ক্রেতা।

যদি এই শতরূপ সিপিএমের হয়, যে অসভ্যের মত অন্যদের দিকে কালি ছেটায়, প্রশ্ন-
1) হোলটাইমার এত টাকা পেল কোথা থেকে?
2) যদি বাবা বা কোনো আত্মীয় দেন, তাহলে পেমেন্ট ওর নামে কেন? সরাসরি তাঁরা কিনতে পারতেন।
3) হোলটাইমার এত টাকা ব্যাঙ্ক লোন পেতে পারে কি?
4) হোলটাইমার 22 লাখি গাড়ি কিনছে, পার্টি জানে?
5) সর্বহারার দলের হোলটাইমার কমরেডের 22 লাখি বিলাসবহুল গাড়ি চড়ার শখ হবে কেন?”

Previous articleআইপিএল-এ কলকাতার ম‍্যাচ ঘিরে ইডেনে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে
Next articleপ্যান এবং আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের মেয়াদ তিন মাস বাড়ল