সংবিধান তাঁরাই রাখে, যাঁরা তাকে সম্মান করে- রেড রোডের ধর্না মঞ্চ থেকে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Benarjee)। তিনি জানান, তাঁর দুটি দায়িত্ব এক মুখ্যমন্ত্রী, আর একটি তৃণমূলের (TMC) সভানেত্রী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসেছেন। তবে, এই ধর্না মঞ্চ হয়েছে দলের ব্যানারে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীরাও রয়েছেন মঞ্চে। পাশেই হয়েছে অস্থায়ী অফিস। সেখানে থেকে সরকারি কাজ চলছে। একই সঙ্গে দুটি ভূমিকা পালন করছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
প্রায় ৩ঘণ্টা পার। একে একে ভিড় বাড়ছে ধর্না মঞ্চে। বেলা ১২টার একটু পরেই মঞ্চে পৌঁছন মমতা। তাঁর বসার জায়গার পাশেই একটি টেবিলে ভারতীয় সংবিধান মাথায় ঠেকিয়ে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবিধানে মালা পরিয়ে দেন অরূপ বিশ্বাস। মঞ্চের পাশেই অস্থায়ী অফিস। সেখান থেকে জরুরি কাজ সারছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম কোনও কথা না বললেও, বেলা আড়াইটে নাগাদ মাইক্রোফোন হাতে নেন মমতা। জানান, তিনি এখানে দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন। একদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অন্যদিকে দলনেত্রী। মমতার কথায়, যাঁরা সংবিধানকে মানে তাঁরা সংবিধান সঙ্গে রাখে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনা এবং গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের প্রতিবাদে এই ৩০ঘণ্টা ধর্না কর্মসূচি মমতার। তাঁর লেখা কবিতার গান চলছে মঞ্চে। কখনও সেই গানে তাল দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীও। আবার কখনও তিনি ব্যস্ত মোবাইলে।
ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে রেড রোডের নীল-সাদা মঞ্চে। প্রথম থেকেই মমতার পাশে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দোলা সেন, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, সায়নী ঘোষ। পাশে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনও। পরে আসেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সোহম চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়। বাবুল সুপ্রিয়, প্রিয়দর্শিনী হাকিমকেও দেখা যায় মঞ্চে।
মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না, অভিষেকের সভা, বাম-বিজেপির মিছিল সভা সত্ত্বেও রাজপথা যানজট খুবই কম। রেড রোডে কোনও যানজট নেই। তবে যান চলছে ধীর গতিতে।