CPM জমানায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের সরব কুণাল, সামনে আনলেন আদালতের নথি

বামফ্রন্ট আমলকে কাঠগড়ায় তুলে সিপিএমের ৩৪ বছরের সময়কালে দুই মুখ্যমন্ত্রীর জমানাকেই নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ

সম্প্রতি সিপিএম জামানায় একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতি, চিরকুটে চাকরি, অযোগ্যদের ঘুরপথে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে নিজেদের ও পার্টির হোলটাইমারদের পরিবারের লোকেদের চিরকুটে ভুরি ভুরি চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে সুজন চক্রবর্তী থেকে সুশান্ত ঘোষ, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমদের নাম।

আরও পড়ুন:CPM জমানায় ৬৮০ জনের বেআইনি নিয়োগ, এবার তৃণমূলের নিশানায় সূর্যকান্ত

এখানেই শেষ নয়। বামফ্রন্ট আমলকে কাঠগড়ায় তুলে সিপিএমের ৩৪ বছরের সময়কালে দুই মুখ্যমন্ত্রীর জমানাকেই নিশানা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি, “বামফ্রন্ট জমানায় ডাক্তারি পড়তে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা ছিল। এই কোটা ২০১১-র পর তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাম জমানায় মুখ্যমন্ত্রীর কোটায় ক’জন এবং কারা ডাক্তারি পড়েছিলেন, অধিকাংশই জয়েন্টে না পেয়েও কোটায় ঢোকার অভিযোগ উঠত কেন, সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করুক সিপিএম।” এক্ষেত্রে সরাসরি বামফ্রন্ট সরকারের দুই মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন কুণাল।

আরও একধাপ এগিয়ে এবার বাম আমলের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা কেলেঙ্কারির নথি সামনে আনলেন কুণাল। ১৯৮২ সালে কলকাতা হাইকোর্টে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বেনিয়ম নিয়ে একটি মামলা হয়েছিল। সেই সময় বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কালের নিয়মে সেগুলি স্মৃতি থেকে হারিয়েও গিয়েছে মানুষের। তখন সংবাদ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া এতটা শক্তিশালী ছিল না বলে অনেক কিছুই ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে।

তবে নতুন করে বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু হতেই কুণাল ঘোষ সেই সময়কার একটি জনপ্রিয় দৈনিকের পেপার কাটিং ফের সামনে আনলেন। যেখানে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার রায় নিয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
তুলে ধরা হয়েছে।

আজ, সোমবার সকালে সেই পেপার কাটিং-এর ছবি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল লেখেন, “জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা কেলেঙ্কারি 1982। কলকাতা হাইকোর্ট, মামলা CR- 8881 (W). মাননীয় বিচারপতির পর্যবেক্ষণেও ছিল মেধাতালিকায় গুরুতর অনিয়ম। অভিযোগগুলিও ছিল মারাত্মক। কিন্তু 41 বছর আগের এসব কীর্তির কি নতুন তদন্ত সম্ভব? নথি কই? আজকের মত প্রযুক্তি ছিল না।
কারা করেছিল অনিয়ম? কী শাস্তি হয়েছিল? উত্তর নেই। এই সুবিধেটাই নিয়ে সাধু সাজছে সিপিএম। সেই সময়ের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘পরিবর্তন’-এর প্রতিবেদনটি তুলে ধরলাম।”

 

 

Previous articleপুলিশি তৎপরতায় মেয়ো রোডের বাস দু*র্ঘটনায় গ্রে.ফতার চালক , হেলদোল নেই বাস মালিকের
Next article“হাতেপায়ে ধরে” এবিপি আনন্দ প্যানেলে ডিসকাশনে জায়গা পেলেন শতরূপ, খেলেন জোর ধমক!