Tuesday, November 11, 2025

দু.র্নীতির বিরুদ্ধে সিবিআই-র পাশে কেন্দ্র! মোদির মন্তব্যে তীক্ষ্ণ ‘খোঁচা’ তৃণমূলের

Date:

Share post:

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার সবসময় তাঁদের সঙ্গে আছে। ন্যায় এবং সুবিচারের ‘ব্র্যান্ড’-এ পরিণত হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। সোমবার দিল্লিতে সিবিআই (CBI) দফতরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৬০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর সেখানেই সিবিআই-র দরাজ প্রশংসায় সরব প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যে মোদি সরকারের দফতরের অধীনে কর্মরত তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এদিন প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন, যখনই কোনও দুর্নীতির কথা সামনে আসে, এমনকি সেই দুর্নীতি যদি পঞ্চায়েত স্তরেও হয়, তখনই সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন মানুষ। এর থেকেই বোঝা যায় বছরের পর বছর ধরে সিবিআই নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে ‘ন্যায় এবং সুবিচারের’ ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এরপরই সিবিআই আধিকারিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দুর্নীতি দেশের সবথেকে বড় সমস্যা। অতীতে দুর্নীতির ফলে দেশের প্রগতি, উন্নতি থমকে ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। মোদি সিবিআই আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন, ভ্রষ্টাচারের প্রতি নির্মম হতেই হবে। এটা বর্তমান সরকারের মিশন। সিবিআইকে সেই লক্ষ্যেই এগোতে হবে।

পাশাপাশি, এদিনের মঞ্চে মোদির ভাষণে উঠে আসে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আগে সরকারি চাকরির নিয়োগে প্রচুর দুর্নীতি হত। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হত। কিন্তু আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি নিয়োগে স্বচ্ছতা রাখতে ইন্টারভিউ বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়াও সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা দোষীদের শাস্তি দিতে তদন্ত প্রক্রিয়া কী ভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, তা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভাবনাচিন্তা করতে হবে। দোষীদেরও দ্রুত শাস্তি দিতে হবে।

তবে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সিবিআই প্রীতি নিয়ে সরব হন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি সাফ জানান, নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ২০১৩ সালে তখন আমরা তাঁর বক্তব্য শুনেছি। তিনিই তখন বলেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর এবং গুজরাটের সরকারি আধিকারিকদের হেনস্থা করছে, ঠিক মতো কাজ করতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে অপব্যবহারের অভিযোগ উঠছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। আর সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। এরপরই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি যা বলছেন তা পুরোটাই নাটক। সাধারণ মানুষের আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সাফ জানিয়েছেন, বিজেপি নেতাদের গায়ে কোনও হাত নয়, তবে যারা বিজেপি বিরোধী দল তাদের খুঁজে খুঁজে হেনস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

 

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...