প্রতিষ্ঠা দিবসে আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল লড়াই

হাতুড়ি দিয়ে পার্টি অফিসের দরজা ভাঙার চেষ্টা! সেখান থেকে বচসা, মারামারি। এই ছিল দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে বর্ধমানে বিজেপির চেহারা। কার্যত আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই গোষ্ঠীকোন্দল ঘিরে ধুন্ধুমার বর্ধমান জেলা বিজেপির দফতরে। আজ, বৃহস্পতিবার একদল বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বর্ধমানের ঘোরদৌড়চটি এলাকার জেলা কার্যালয়ের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন। গেটের সামনে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। ভিতরে আটকে পড়েন জেলা ক্ষমতাসীন নেতৃত্ব।

এরপরতালা খোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বচসাজোর করে হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে দেন এক কর্মী। সেখান থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। যা পরে বিশাল আকার ধারণ করে। অভিযোগ, বিজেপি যুবনেতার নেতৃত্বে হাতুড়ি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে বিক্ষুব্ধদের দিকে তেড়ে যান একদল কর্মী-সমর্থক। ভেঙে দেওয়া হয় বিক্ষুব্ধ কর্মীদের অস্থায়ী শিবির। সংঘর্ষের দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

সূত্রের খবর, আদি-নব্যদের মধ্যে এই গণ্ডগোল নতুন নয়।
ঘটনার সূত্রপাত মাসখানেক আগে। বিজেপির বর্ধমান সদর জেলার সহ-সভাপতি শ্যামল রায়কে শোকজ় করার পর প্রকাশ্যে আসে দলীয় কোন্দল। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। এরপর বহিষ্কার করা হয় শ্যামলকে। যার জেরে শ্যামলের অনুগামী কিছু পদাধিকারী পদত্যাগ করেন। সেই রেশ বৃহস্পতিবার চরম আকার নেয়।

যুবমোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু শ্যাম বলেন, “দলে থাকতে গেলে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। দলই ঠিক করে কে কোন পদে থাকবেন। তাই দলবিরোধী কোনও কাজ আমরা বরদাস্ত করব না।” অন্যদিকে, বিক্ষুব্ধদের নেতা রাজু পাত্রের অভিযোগ, “অযোগ্য সভাপতি অভিজিৎ তা পুরোপুরি নিস্ক্রিয়। ফলে দলীয় যে কাজ তা ব্যাহত হচ্ছে। আন্দোলন গতি পাচ্ছে না।” সবমিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বর্ধমান বিজেপি অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Previous articleনাকচ জামিনের আবেদন! জেলেই নববর্ষ কাটবে কুন্তল-তাপস-নীলাদ্রিদের  
Next articleসৌদির ক্লাব আল হিলালের বিশাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মেসি