মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে নকল ওয়েবসাইট! তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি দিচ্ছে সিবিআই

তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই তথ্য হাতে এলে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। এবার খোঁজ মিলল ভুয়ো ওয়েবসাইটের।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নামে নকল দু’টি ওয়েবসাইট তৈরি করার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। অবশ্য পরে ওই ওয়েবসাইটগুলিকে উড়িয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য হাতে পেতেই গুগলকে চিঠি দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে তদন্তকারী সংস্থা। কোন আইপি অ্যাড্রেস এবং মেল আইডি ব্যবহার করে ওই নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল, কবে তা মুছে ফেলা হল, এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় সিবিআই।সেই কারণে আমেরিকার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা গুগলকে চিঠি দিচ্ছে সিবিআই। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ওই তথ্য হাতে এলে নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছনো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপাতভাবে সাইটটি আসল না নকল, তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না। তবে পর্ষদের আসল ওয়েবসাইটের শেষে ‘ডট ইন’ থাকলেও নকল দু’টির শেষে ছিল ‘ডট কম’। মূল সাইটের মধ্যে থেকেই ভুয়ো ওয়েবসাইটের লিঙ্ক মিলত, না ভুয়ো সাইট স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করত, সে সব নিয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা।জানা গিয়েছে, প্রার্থীদের কাছে ওই লিঙ্ক পাঠানো হত রাতের দিকে।

সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, যে সব চাকরিপ্রার্থী টাকা দিতেন, তাঁদের নাম নকল ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হত।মূলত আস্থা অর্জন করে ওয়েবসাইটটি দেখিয়ে তাঁদের বোঝানো হত যে, চাকরি পাকা। এই ভরসায় আরও অনেকেই এজেন্টদের কাছে টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের নাম দেখে নিশ্চিন্ত হওয়ার পর কোনও একটা সময় ওই ওয়েবসাইট দু’টি মুছে ফেলা হয়। কবে এবং কী ভাবে ওই ওয়েবসাইট দু’টি মুছে ফেলা হল, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। সেই তদন্তের স্বার্থেই গুগলের কাছে চিঠি দিয়ে তথ্য জানতে চাইছে সিবিআই। আইপি অ্যাড্রেস এবং মেল আইডির হদিস পাওয়া গেলে, এই কাজে কারা যুক্ত ছিলেন, তা-ও জানা যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

 

Previous articleপালানোর ছক ব্যর্থ, বিমানবন্দরে গ্রে*ফতার আকাঙ্খার প্রেমিক!
Next articleপ্রধানমন্ত্রীর স্বল্প শিক্ষা দেশের জন্য বিপ*জ্জনক: মণীশ সিসৌদিয়া