দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল একটি টুইট করে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই চিঠির সারাংশ উদ্ধৃত করে কেজরিওয়াল লিখেছেন, ‘‘জেল থেকে জাতির উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন মণীশ। প্রধানমন্ত্রীর স্বল্প শিক্ষা দেশের জন্য খুবই বিপজ্জনক। মোদি বিজ্ঞান বোঝেন না। মোদি শিক্ষার গুরুত্ব বোঝেন না। গত কয়েক বছরে প্রায় ৬০ হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ভারতের অগ্রগতির জন্য এক জন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী থাকা প্রয়োজন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মণীশ।
নির্বাচনী হলফনামায় মোদি জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৭৮ সালে গুজরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ এবং ১৯৮৩ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন। সেই সূত্র ধরেই কেজরীওয়াল মুখ্য তথ্য কমিশন (সিআইসি)-এর কাছে মোদির বিএ এবং এমএ পাশের শংসাপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও), দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে সেই শংসাপত্র দেখানোর নির্দেশ দেয় সিআইসি। সিআইসির এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৩১ মার্চ শুক্রবার গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণবের একক বেঞ্চ সিআইসির সেই নির্দেশকে খারিজ করে দেয়।
উল্টে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির শংসাপত্রের বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার জন্য কেজরিওয়ালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।