বরফের টানেই গিয়েছিলেন সিকিমে। বৃহস্পতিবার, গভীর রাতে সেই বরফে মুড়েই এলো প্রীতম মাইতির (Pritam Maity) দেহ। রামনগরের (Ramnagar) বাড়িতে তখন কান্নার রোল। সিকিমের (Sikkim) তুষার ঝড়ে অন্য ৬জন হতভাগ্যের সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন প্রীতম। প্রথমে বিমান ও পরে গাড়ি করে গভীর রাতে দেহ পৌঁছয় বাড়িতে। এলাকার মানুষ তখন শোকে ভেঙে পড়েছেন। রাতেই রামনগরে যুবকের বাড়িতে যান কারামন্ত্রী অখিল গিরি (Akil Giri)।


রামনগর-১ ব্লকের বসন্তপুরের সাগরেশ্বর মুকুন্দপুরে আদি বাড়ি প্রীতমের। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ঠিকাদার পদে কাজ করতেন তিনি। থাকতেন স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে কলকাতার মানিকতলায়। প্রীতমরা এক ভাই, এক বোন। গ্রামের বাড়িতে থাকেন তাঁর মা-বাবা। সাত সদস্যর টিমে সিকিমে গিয়েছিলেন প্রীতম। তুষারপাত হচ্ছে শুনে বরফ দেখতে ছোটেন তিনি। সেখানেই ভয়াবহ তুষারধসে মর্মান্তিক পরিণতি। দাদার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই সিকিম গিয়েছিলেন বোন। তিনিই দেহ নিয়ে ফেরেন। স্বামীকে হারিয়ে দিশাহারা শিউলি মাইতি। বৃদ্ধ মা-বাবার চোখে শুধুই অন্ধকার।


শোকার্ত পরিবারের পাশে থাকার জন্য দিঘা থেকে ফেরার পথে বিধায়ক ও মন্ত্রী অখিল গিরিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতোই শোকার্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান অখিল গিরি। বলেন, পরিবারের পাশে সবরকমভাবে আছে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন:টাইম পত্রিকার বিশ্বের প্রভাবশালীদের তালিকায় সেরার সেরা শাহরুখ, পিছনে ফেললেন মেসিকেও















