জারি ১৪৪ ধারা! রিষড়া যাওয়ার আগেই বাধার মুখে কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

পুলিশ সাফ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনওভাবেই এই কেন্দ্রীয় দলকে এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। আর তারপরই কেন্দ্রের পাঠানো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের ফিরে যেতে বলে পুলিশ।

রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত পরিস্থিতি হুগলির (Hoogly) রিষড়াতে (Rishra)। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পাঠানো হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে (Fact Finding Team)। আর শনিবার সেই টিমের প্রতিনিধিদেরই এলাকায় ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ। এদিন শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে প্রতিনিধিদের কনভয় আটকানো হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন ছয়জনের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এদিন যাচ্ছিলেন রিষড়ার অশান্তিপ্রবণ এলাকায়। তবে পুলিশ সাফ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কোনওভাবেই এই কেন্দ্রীয় দলকে এই মুহূর্তে রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। আর তারপরই কেন্দ্রের পাঠানো ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের ফিরে যেতে বলে পুলিশ।

উল্লেখ্য, হাওড়া (Howrah)-রিষড়া (Rishra) কাণ্ডে দিল্লি থেকে রাজ্যে এসেছেন ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউমান রাইটস ভায়োলেশনের’ (Fact Finding Committee on Human Rights Violation) সদস্যরা। কিন্তু, এদিন রিষড়া ঢোকার মুখে শ্রীরামপুরে তাঁদের কনভয় আটকে দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, রিষড়ায় আসার আগে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা ছিলেন কলকাতার একটি হোটেলে। সেখান থেকেই সোজা রওনা দেন রিষড়ার উদ্দেশে। কিন্তু, রিষড়া ঢোকার আগে শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি দিল্লি রোডে তাঁদের কনভয় আটকায় পুলিশ। রিষড়াকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেখানকার রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল টিমের। আর বাধা পাওয়ার পর অনুসন্ধানকারী দলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডা চলে পুলিশের। যদিও প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এদিন প্রশ্ন তোলেন, কেন তাদের যেতে দেওয়া হবে না? তাঁরা এলাকায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান। এরপরে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন বলে জানান।

তবে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পুলিশি বাধার মুখে পড়ে প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁদের যেতে দেওয়া হবে না। তারা এলাকায় ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলে কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে চান। টিমের এক সদস্যা গাড়ি থেকে নেমে এলাকায় হেঁটে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁর সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের বাদানুবাদ শুরু হয় বলেও খবর। অপর এক প্রতিনিধি বলেন, কেন আমাদের এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? আলোচনায় কোনও সমাধান মেলেনি। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে কাল বা পরশু আবার আসব আমরা। পুলিশের যে কোনও শর্তে যেতেও রাজি। প্রয়োজনে কমিশনার যেখানে ডিউটিতে রয়েছেন, সেখানে তাঁর গাড়িতে বসে বৈঠক করব। কিন্তু, এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখে এখান থেকে ফিরব না। তবে এদিন তাদের ঢুকতে না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোন্নগরের কাছ থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে কলকাতা ফিরে যায় এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। নতুন করে পরিকল্পনা করে ফের রবি কিংবা সোমবার রিষড়া যাওয়ার সম্ভাবনা তাঁদের।

 

 

 

Previous articleট্রাম্পের বি*রুদ্ধে মামলায় হার, প*র্ন তারকাকে লক্ষাধিক টাকা জরি*মানার নির্দেশ আদালতের!
Next articleকবে আসছেন লিটন দাস? জানিয়ে দিল কেকেআর