JU-এর অনুষ্ঠানকে ভর্ৎ*সনা করে মধ্যরাতে বিস্ফো*রক শ্রীজাত, কমেন্ট বক্সে মিশ্র প্রতিক্রিয়া!

কেউ কেউ শ্রীজাতর বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের অন্যান্য বিষয়ে কেন কবি এভাবে কলম ধরেন না? তবে সম্ভবত বিতর্ক এড়াতে এরপরই পোস্টটি ডিলিট করে দেন শ্রীজাত।

শুক্রবার মধ্যরাতে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) সরগরম। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিখ্যাত কবি গীতিকার পরিচালক শ্রীজাত (Srijato) এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। কলেজ ফেস্টের কারণে ক্ষু*ব্ধ শ্রীজাত। আর তাঁর সমাজমাধ্যমের পোস্ট (Social Media Post) ঘিরে শোরগোল পড়ুয়া মহলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অনুষ্ঠানে শব্দদৈত্যের তাণ্ডবে জেরবার শ্রীজাত এবং তাঁর পরিবার। কিছুটা বাধ্য হয়েই ‘স্রেফ অসভ্যতা’র বিরুদ্ধে সরব হলেন কবি। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

যারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত নন তাঁরা শ্রীজাতর লেখাটি দেখলেই পুরো বিষয়টা সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়ে যাবেন। সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় কবি পরিচালক শ্রীজাত। শুক্রবার মধ্যরাতে তিনি একটি লম্বা পোস্ট করেন। তাঁর লেখায়, ‘মাঝরাত পার হয়ে গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবের শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। টানা এক সপ্তাহ সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা এই অসহ শব্দতাণ্ডব চলছে, তাদের Open Air Theatre-এ। বছরে বেশ কয়েকবার হয় এমন। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানলা দরজা কাঁপছে, কান-মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি সাতদিন হলো শিকেয়, দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়ে দিলাম, বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। জানি না এর কোনও প্রতিকার আছে কিনা, তবু আমি, আমরা প্রতিবাদ জানালাম। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। উৎসব যদি অন্যের অশান্তির কারণ হয় এবং লাগাতার হয়েই চলে, তবে তা স্রেফ অসভ্যতা ও অন্যায়।’

এরপরই কমেন্ট বক্সে মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়। কেউ সাহিত্যিককে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন, তো কেউ আবার পাল্টা তোপ দাগেন শ্রীজাতর বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে বলে রাখা দরকার যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স বিভাগের ফেস্ট শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফেস্ট। সেখানে যে শুধুমাত্র বাংলার গায়ক গায়িকারা অনুষ্ঠান করেছেন তা নয় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গানের ব্যান্ড এসে পারফর্ম করে গিয়েছে। শ্রীজাতর পোস্টে একদিকে যেমন তাঁর লেখালেখির সমস্যার কথা উঠে এল, তেমনই জায়গা করে নিল বাড়িতে থাকা প্রবীণ ব্যক্তিদের সমস্যার কথা। দীর্ঘ পোস্টে তিনি সাফ জানিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে তাঁকে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এরপর কার্যত নেটিজেনরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছেন। কেউ কেউ শ্রীজাতর বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলেছেন সমাজের অন্যান্য বিষয়ে কেন কবি এভাবে কলম ধরেন না? তবে সম্ভবত বিতর্ক এড়াতে এরপরই পোস্টটি ডিলিট করে দেন শ্রীজাত।

 

Previous articleসুপার কাপ খেলতে রবিবার কেরল উড়ে যাচ্ছে মোহনবাগান, প্রথম ম‍্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা শুরু ফেরান্দোর
Next articleLT.TE-র কোমর ভাঙতে চেন্নাইয়ের একাধিক জায়গায় NIA অভিযান