রাজস্থানে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্ব*ন্দ্ব চরমে, নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই অনশনে  পাইলট

এর পর গহলৌত বলেন, ‘‘দেশে করোনার পরে কংগ্রেস দলেও করোনা ঢুকে পড়েছে।’’

চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু রাজস্থানে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটার ইঙ্গিত নেই। বরং মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সচিন পাইলট ধারাবাহিক ভাবে পরস্পরকে নিশানা করে চলেছেন।

প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে রাজস্থানে ভারত জোড়ো যাত্রার সময় রাহুলের সামনেই পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবিতে স্লোগান উঠেছিল। এর পরেই নতুন করে দু’গোষ্ঠীর সংঘাত শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পাইলট প্রশ্ন তোলেন, বিজেপির বসুন্ধরা রাজে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে রাজস্থানের মানুষ কংগ্রেসকে সরকারে এনেছিল। তা হলে গত চার বছরে সেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হল না কেন? এর পর গহলৌত বলেন, ‘‘দেশে করোনার পরে কংগ্রেস দলেও করোনা ঢুকে পড়েছে।’’

দুর্নীতির অভিযোগে নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই অনশনে বসছেন রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। রাজনৈতিক মহল বলছে, সরকার নয়, সচিনের নিশানায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তাকে বিঁধতেই সচিন টেনে এনেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়াকে। শচীনের ঘোষণা, আগামী মঙ্গলবার দিন তিনি এক দিনের প্রতীকী অনশনে বসবেন।

পাইলট বলছেন, প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে আমরা ভোটে যেতে পারি না। আমাদের হাতে প্রমাণ আছে। ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। প্রকৃত তদন্ত করানো উচিত ছিল। আবার একটা ভোট আসছে। ক’দিনের মধ্যেই নির্বাচনী আচরণবিধিও জারি হয়ে যাবে। মানুষের কাছে কী জবাব দেব? কিন্তু নিজের দলেরই সরকারের বিরুদ্ধে এ ভাবে প্রকাশ্যে সরব হওয়াকে বিরোধীরা ‘ইস্যু’ করবে না?

এ প্রসঙ্গে সচিন বলেন, রাজ্যে আমাদের সরকার চলছে। আমাদেরই ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে মানুষ ভরসা পান, এই সরকার তাদের কথা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে দেখে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের আগেভাগেই গহলৌতের উপর চাপ তৈরি শুরু করে দিয়েছেন সচিন।

 

 

Previous articleঅসুস্থ হার্দিক, কলকাতার বিরুদ্ধে গুজরাতের নেতৃত্বে রশিদ খান
Next articleশান্ত পরিস্থিতিকে অ*শান্ত করার চেষ্টা আটকাল পুলিশ, পিছু হটল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম!