শান্ত পরিস্থিতিকে অ*শান্ত করার চেষ্টা আটকাল পুলিশ, পিছু হটল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম!

গতকাল রিষড়ায় যেতে চেয়েছিলেন এই টিমের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে পুলিশ সতর্ক থাকে বিশেষ কোনও কান্ড ঘটাতে পারেননি তাঁরা । হালে পানি না পেয়ে এবার ছুটির দিন রবিবার হাওড়ায় (Howrah) যাওয়ার চেষ্টা করলেন তাঁরা।

রামনবমীর (Ramnavami) অশান্তির পর কেটে গেছে বেশ কয়েকটা দিন। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে প্রশাসন পদক্ষেপ করার পর আপাতত শান্ত হাওড়া (Howrah) এবং হুগলি (Hooghly)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বুকে ফের গোলমাল পাকাবার পরিকল্পনায় গেরুয়া শিবির। এবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (Fact Finding Team) পাঠিয়ে প্ররোচনা দেবার অভিযোগ উঠল বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে। গতকাল রিষড়ায় যেতে চেয়েছিলেন এই টিমের সদস্যরা। কিন্তু সেখানে পুলিশ সতর্ক থাকে বিশেষ কোনও কান্ড ঘটাতে পারেননি তাঁরা । হালে পানি না পেয়ে এবার ছুটির দিন রবিবার হাওড়ায় (Howrah) যাওয়ার চেষ্টা করলেন তাঁরা। হাওড়া শিবপুরে (Shibpur, Howrah) ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই কোনও মতেই সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে কমিটির কর্তাদের সাফ জানায় পুলিশ (Police)।

গত ৩০ মার্চ ২০২৩ – এ রামনবমীর মিছিল ঘিরে প্রথমে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরে সেই আঁচ গিয়ে পড়ে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা ও হুগলির রিষড়ায়। বহিরাগত এনে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা অভিযোগ ওঠে রাজ্যের তরফে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সব রকমের পদক্ষেপ করা হয়। এখনও পর্যন্ত আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এই অবস্থায় অশান্তির কারণ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে হঠাৎ আগমন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি অন হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনের (Fact Finding Committee on Human Rights Violations) ছয় সদস্যের একটি দলের। এলাকার মানুষ বলছেন তাঁরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পেরেছেন । কোথাও কোন রকমের গন্ডগোলের লেশমাত্র নেই। সেই অবস্থায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই টিমের সদস্যদের আসা ভাল চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায়, ধর্মতলার হোটেল থেকে রওনা দেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদল। দ্বিতীয় হুগলি ব্রিজ দিয়ে ওঠার পরই, টোলপ্লাজার কাছে তাদের আটকে দেয় হাওড়া সিটি পুলিশ (Howrah City Police)। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে জানিয়ে দেয়া হয় যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় তাঁরা সেখানে যেতে পারবেন না। এরপরও পুলিশের নিষেধ অমান্য করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। এই নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ বাগবিতণ্ডাও হয়। পরে ফিরে যান ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, এটা শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গন্ডগোল হলে তৃণমূল সাংসদদের এয়ারপোর্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কখন ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয় না। আর এখন যখন পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছে, তখন নতুন করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে পদ্ম শিবির বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।

 

Previous articleরাজস্থানে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্ব*ন্দ্ব চরমে, নিজের সরকারের বিরুদ্ধেই অনশনে  পাইলট
Next articleউত্তর দিনাজপুরে ভ.য়াবহ অ.গ্নিকাণ্ড! গু.রুতর জ.খম ৫ শিশু, পু.ড়ে ছাই একাধিক বাড়ি