উঠল কুড়মিদের অবরোধ। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে কুড়মি নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, তাঁরা আপাতত বনধ প্রত্যাহার করে নিলেন। তবে, আগামি দিনে আবারও আন্দোলনে বসবেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষরা বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন:চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা! পয়লা বৈশাখের আগেই রেকর্ড গরম
একগুচ্ছ দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিল কুড়মিরা। পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতো রবিবার বলেন, ‘‘মানুষের সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু কুড়মি সমাজের যে দাবি, সেটা তো পূরণ হচ্ছে না। তাই আন্দোলন স্তব্ধ হবে না। প্রয়োজনে আরও অন্যান্য জায়গায় অবরোধ শুরু হবে।’’ এর পরেই আন্দোলন প্রত্যাহারের খবর পাওয়া যায়। তবে কিছু দিনের জন্য ‘বিশ্রাম’ নিয়ে আবারও পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুড়মি সমাজের নেতারা।

প্রসঙ্গত, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে গত দু’দিন ধরে যা যা করণীয় সবরকমভাবে আন্দোলনকারীদের উপর নানারকমভাবে চাপ তৈরি করছিল প্রশাসন। রবিবার সকালের বৈঠকেও প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছিল, অবরোধ প্রত্যাহার না করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এমনকি রাজ্য প্রশাসন এব্যাপারে কেন্দ্রের সহযোগিতা চেয়েছিল।তবে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুড়মিরা। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মত বদল করেন তাঁরা। তুলে নেওয়া হয় আন্দোলন।রফাসূত্র যদিও এখনও অধরা। তবুও পাঁচদিনের মাথায় কুড়মিরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।
