Wednesday, December 3, 2025

বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার ফা*রাক বোঝালেন মানিক

Date:

Share post:

শহরে এসেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা । শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কলকাতার সঙ্গে আগরতলার ফারাক কোথায়, তা বোঝানোর চেষ্টা করলেন তিনি। বললেন, ‘আমি যখন বিমানবন্দর থেকে এখানে আসি, তখন দেখি একমাত্র তৃণমূলের পতাকা ছাড়া আর কোনও পতাকা এখানে ওড়ে না। দেখে কষ্ট হয়। আমাদেরও কিছু পতাকা-ছবি লাগিয়েছে। আমি নিশ্চিত, যেতে যেতে হয়ত এগুলোও খুলে নেবে। কিন্তু আপনারা আমাদের ওখানে গিয়ে দেখবেন, আমাদের যা পতাকা আছে, তার থেকেও বেশি তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের পতাকা পতপত করে উড়ছে। সবার পতাকা উড়ছে। আমাদের দলের তরফে কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলতা রাখিনি।’

এমনকী, বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার ফারাক বোঝাতে গিয়ে এ রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও শাসক শিবিরকে খোঁচা দিলেন মানিক সাহা। বললেন, ‘খালি মারপিট, বোমাবাজি, খুন চলে এই রাজ্যে।’ মানিক সাহার কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ মানে সবসময় আমাদের খুব কাছের জায়গা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মধ্যে একটি দূরত্ব দেখা গিয়েছে। এর মূল কারণ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এখান থেকে তৃণমূল ত্রিপুরায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু নোটার থেকেও কম ভোট পেয়েছে।

ত্রিপুরার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সায়েন্টিফিক রিগিং হতে দেব না। ছাপ্পা ভোট ত্রিপুরায় হতে দেব না। গণতন্ত্র কাকে বলে দেখিয়ে দেব। ভোটের সময় কোথাও ছাপ্পা ভোট বা বিশৃঙ্খলতা ছিল না।

বাংলার বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ভোকাল টনিকও দিয়ে গেলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। অতীতে পরাজয়ের মুখ দেখলেও, বিজেপি যে বাংলা জয় করবেই, সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন তিনি। বললেন, বাংলাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার খুব দরকার। ত্রিপুরা দেখে শিখুন। ত্রিপুরা সরকার দুর্নীতি মুক্ত সরকার। এটা মানুষ চায়।’

 

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...